Cheque Bounce Rules: চেক বাউন্স হলেই বিপদ! ১৫ দিনের মধ্যেই নেওয়া হবে অ্যাকশন

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

এখন সর্বত্রই কমবেশি মানুষজন অনলাইন লেনদেনের উপর আস্থা রাখছে। UPI ব্যবস্থা এসে গোটা বিষয়টাকেই অনেক বেশি ত্বরান্বিত করেছে। কিন্তু তা সত্বেও এখনও বহু ভারতবাসী চেকের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করতে সাচ্ছন্দ বোধ করেন।

বিশেষ করে ব্যবসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রে চেকের গুরুত্ব আজও অপরিসীম। তাছাড়া অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক লেনদেনও চেকের মাধ্যমে হয়ে থাকে। কিন্তু জানেন কি, এই চেকের মাধ্যমে লেনদেন করার সময় প্রভূত সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন? কারণ সামান্য ভুল হলে মোটা টাকা জরিমানা তো দিতেই হবে, এমনকি আপনাকে জেলে পর্যন্ত যেতে হতে পারে!

আমজনতা অনলাইন লেনদেনে ক্রমশ অভ্যস্ত হয়ে উঠলেও বড় অঙ্কের অর্থ তোলার সময় এখনও চেকের উপর আস্থা রাখে। তাছাড়া আগেই তো বলা হয়েছে যে ব্যবসায়িক লেনদেন বা প্রাতিষ্ঠানিক লেনদেনের ক্ষেত্রে চেক একটি প্রামাণ্য মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এই চেক লেখার সময় অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। না হলে সামান্য ভুলে আপনার চেক বাতিল বা বাউন্স হয়ে যাবে।

আর চেক বাউন্স হলে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যাঙ্ক ফাইন বা একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা কেটে নেয়। তাছাড়া চেক বাউন্সের কারণের উপর ভিত্তি করে এই ফাইনের হার আলাদা হয়ে থাকে। সবচেয়ে বড় কথা চেক বাউন্সের জন্য একজন ব্যক্তিকে জেলে পর্যন্ত যেতে হতে পারে।

কী কী কারণে চেক বাউন্স হয়?

বিভিন্ন কারণে চেক বাউন্স হয়ে থাকে। তবে মূল যে কারণগুলির জন্য চেক বাউন্স হয় তা হল-

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

(1) অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকা বা যত টাকার চেক লেখা হয়েছে তার থেকে কম অর্থ থাকার জন্য চেক বাউন্স হয়।

(2) চেকে করা গ্রাহকের সই বা স্বাক্ষর না মিললে বাউন্স হয়।

(3) ওভাররাইট বা চেকের উপর জড়িয়ে লেখা অথবা বারবার লিখলে সেটি বাতিল হতে পারে।

(4) অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল লিখলে চেক বাউন্স হতে পারে।

(5) প্রতিটি চেকের একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে। সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর ব্যাঙ্কে জমা করলে তা বাউন্স হতে পারে।

চেক বাউন্স হলে কী শাস্তি হয়?

চেক বাউন্স হলে সাধারণত ১৫০ থাকা থেকে শুরু করে ৮০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা ফাইন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেয় ব্যাঙ্ক। এই বিষয়টি ব্যাঙ্ক ভেদে আলাদা আলাদা হয় এবং সেই সঙ্গে কী কারণে চেক বাউন্স করছে তার উপরেও নির্ভর করে।

তবে অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকার কারণে যদি চেক বাউন্স হয় সেক্ষেত্রে বিষয়টি অনেক গুরুতর পর্যায় পৌঁছে যায়। এক্ষেত্রে যিনি চেকটি দিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় প্রতারণার মামলা দায়ের করা যায়। এর জন্য প্রথমে আইনজীবির একটি নোটিশ পাঠাতে হয়।

১৫ দিনের মধ্যে সেই নোটিসের উত্তর না দিলে থানায় এফআইআর দায়ের করতে হয়। এরপর পুলিশ নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তদন্ত করে। সেই তদন্ত রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ওই ব্যক্তির দু’বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

🔥সরকারি সুবিধা, চাকরির সুবিধা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।

✅ WhatsApp Group: Join Now

🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇

👉 এপ্রিল মাসে এই ১৪ দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে, সম্পূর্ণ লিস্ট দিল RBI

👉 ছুটির লিস্টে ছিল না এই ৭ দিন, তবুও সবার জন্য ছুটি থাকবে

👉 DA এর পর এবার DR-ও বেড়ে গেল, এপ্রিল মাস থেকে ঢুকবে বেশি টাকা

👉 গ্যাস সিলিন্ডারের রং লাল হয় কেন? সবুজ বা হলুদ কেন হয়না?

👉 ১ এপ্রিল থেকে সিম কার্ডের পুরোনো নিয়ম থাকবে না, সবকিছু নতুনভাবে হবে

Leave a Comment