১০০ বা ২০০ টি না! হঠাৎ করেই ১৭ হাজার ক্রেডিট কার্ড ব্লক করে দিল ICICI Bank. দেশের অন্যতম বৃহত্তম বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কটি নিজের গ্রাহকদেরই এই বিপুল সংখ্যক ক্রেডিট কার্ড ব্লক করে দিয়েছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে যথারীতি শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কিন্তু জানেন কি কেন এমন পদক্ষেপ করল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক?
বর্তমান অর্থনীতিতে ক্রেডিট কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে গ্রাহকদের যেমন সুবিধা হয় তেমনই ব্যাঙ্ক সহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ ব্যবসা করে থাকে।
কিন্তু সেই ক্রেডিট কার্ড নিয়েই সম্প্রতি চরম সমস্যায় পড়েন আইসিআইসি ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের একাংশ। মূলত যারা সদ্য ব্যাঙ্কের থেকে আবেদন করে ক্রেডিট কার্ড নিয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা দেখা দেয়।
জানা গিয়েছে প্রায় ১৭ হাজার গ্রাহকের ক্রেডিট কার্ড সম্পূর্ণ ভুল ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয় আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক। এদিকে ভুল ঠিকানায় ক্রেডিট কার্ড পৌঁছে যাওয়ার অর্থ হল অন্য ব্যক্তি সেই কার্ড ব্যবহার করে অসাধু উপায়ে জিনিসপত্র কেনাকাটা থেকে শুরু করে আর্থিক প্রতারণা করার সুযোগ পেয়ে যেতে পারে আসল ক্রেডিট কার্ডের মালিকের সঙ্গে।
আরো পড়ুন: ২০০০ এর নোটের গল্প শেষ হয়েছে, এবার ১০ টাকার নোট নিয়েও সিদ্ধান্ত নিল RBI
ফলে বিষয়টি নজরে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়ে ওঠেন আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা। এরপরই বিপত্তি এড়াতে দ্রুত ওই ১৭ হাজার ক্রেডিট কার্ড ব্লক করে দেওয়া হয় ব্যাঙ্কের তরফ থেকে। এই বিষয়ে আইসিআইসি ব্যাঙ্ক জানিয়েছে তারা গ্রাহকদের জন্য নতুন করে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করবে।
কেন এমন গুরুতর ভুল হলেও তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের মুখপাত্র জানান, তাঁদের ব্যাঙ্কের অনলাইন ব্যবস্থায় ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের তথ্য ভুলভাবে ম্যাপিং হয়েছিল। এটা সম্ভবত প্রযুক্তিগত ত্রুটির ফলে ঘটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি জানান ব্যাংকের মোট যত ক্রেডিট কার্ড আছে তার মধ্যে যেগুলো নিয়ে সমস্যা হয়েছে তার অনুপাত মাত্র ০.০০১ শতাংশ।
পাশাপাশি আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভুল ঠিকানায় ক্রেডিট কার্ডগুলো চলে গেলেও এগুলি অপব্যবহার হয়নি। তবুও এরপর কোনও গ্রাহক যদি আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ জানান তবে সবকিছু খতিয়ে দেখে সেই গ্রাহককে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে।
আরো পড়ুন: মে মাসে বাতিল হবে এইসব লোকের রেশন কার্ড! সরকারি নির্দেশিকা জারি হল
আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্তে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন গ্রাহকদের একটা বড় অংশ। যদিও এই প্রসঙ্গে ব্যাঙ্কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।