বর্তমান সময়ে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত নোটের মধ্যে একটি হল ৫০০ টাকার নোট। তবে বর্তমানে জাল নোটের সমস্যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতারকরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন সমস্ত নোট তৈরি করছে যা আসল নোটের থেকে আলাদা করা সাধারণ মানুষের পক্ষে খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক ৫০০ টাকার নোটের আসল এবং নকল চেনার জন্য বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করেছে। এগুলি অনুসরণ করলেই সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার ওয়ালেটে থাকা ৫০০ টাকার নোটটি আসল নাকি নকল।
৫০০ টাকার নোট চেনার পদ্ধতি
আপনার কাছে থাকা ৫০০ টাকার নোটটি চেনার জন্য আপনি নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করতে পারবেন-
- ৫০০ টাকার আসল নোট আলোতে ধরলে এর মধ্যে ৫০০ সংখ্যাটি স্পষ্ট দেখা যায়।
- আসল নোটে ৫০০ সংখ্যাটি দেবনাগরী হরফে লেখা থাকে।
- নোটের ঠিক মাঝখানে মহাত্মা গান্ধীর ছবি স্পষ্ট থাকে, যা আসল নোটের অন্যতম প্রধান একটি বৈশিষ্ট্য।
- নোটটি যখন একটু কোনায় ভাঁজ করা হয় তখন থ্রেডের রং সবুজ থেকে নীল হয়ে যায়।
- ডানদিকে গভর্নরের স্বাক্ষর থাকে এবং RBI লোগো থাকে, যা আসল নোটের চিহ্ন।
- আসল নোটে স্বচ্ছ ভারত অভিযান লোগো এবং স্লোগান স্পষ্টভাবে ছাপানো থাকে।
- নোটের পিছনে লালকেল্লা এবং তার পাশে ভারতীয় জাতীয় পতাকার ছবি দেওয়া থাকে।
- নোটের সামনের দিকে ভারত এবং India লেখা থাকে।
জাল নোট থেকে সতর্ক থাকার উপায়
যদি কাউকে সন্দেহজনক নোট পেতে দেখেন বা আপনার কাছে যদি কোন সন্দেহজনক নোট থাকে তাহলে সেটি পরীক্ষা করার জন্য উপরের বৈশিষ্ট্যগুলি যাচাই করুন। যদি সন্দেহজনক কোন নোট পেয়ে থাকেন তাহলে প্রয়োজনে নিকটস্থ ব্যাংক বা থানায় অভিযোগ দায়ের করুন।
সাধারণ মানুষের জন্য বার্তা
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক এবং সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, কারেন্সি নোটের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সামান্য অসাবধানতায় বড়সড়ো প্রতারণা শিকার হতে পারে। তাই প্রতিটি নোট পরীক্ষা করুন এবং জাল নোটের প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পান।
আরও পড়ুন: ২০০ টাকার নোট নিয়ে RBI সতর্ক করল, নোট নেওয়ার আগে অবশ্যই এই বৈশিষ্ট্যগুলি দেখে নিন
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক এই গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিগুলি সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্যই গ্রহণ করেছে। নোট পরীক্ষা করার অভ্যাস গড়ে তুললে প্রতারণার শিকার হওয়া থেকে এড়ানো সম্ভব। তাই এখন থেকেই সতর্ক হোন এবং ৫০০ টাকার নোট গ্রহণের আগে নোটটিকে ভালোভাবে যাচাই করুন তারপর সেটিকে সংগ্রহ করুন।