সেভিংস অ্যাকাউন্টে কত টাকার বেশি লেনদেন করলে আয়কর নোটিশ আসে?

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

সেভিংস একাউন্টে আপনি কত টাকা জমা রাখতে পারবেন, আর কত টাকা জমা দিলে আইকর দপ্তরের নজরে আসতে পারেন? এই নিয়ে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন থাকে। বিশেষ করে যারা নগদ লেনদেন বেশি পরিমাণে করে থাকেন তাদের জন্য আয়কর সংক্রান্ত নিয়ম জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী। 

কারণ নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি টাকা জমা রাখলে বা তুললে ব্যাংক সরাসরি সেই তথ্য আয়কর দপ্তরকে জানিয়ে দেয়। আজকের প্রতিবেদনে দেখে নিন, কত টাকা পর্যন্ত তুললে বা জমা করলে আয়কর নোটিশ পাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

বছরে ১০ লাখ টাকা নিরাপদ

আয়কর আইনের নিয়ম অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি যদি ১ বছরে তার সেভিংস একাউন্টে নগদ ১০ লক্ষ টাকার বেশি জমা দেন, তাহলে সেই লেনদেনকে হাই ভ্যালু ট্রানজেকশন হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

ব্যাংক এবং আর্থিক সংস্থাগুলির কাছে নির্দেশ রয়েছে, এমন লেনদেন হলে তা সরাসরি আয়কর দপ্তরকে জানাতে হবে। ফলে যদি আপনার বার্ষিক নগদ লেনদেন ১০ লক্ষ টাকার বেশি হয়ে যায়, তাহলে আপনি আয়কর দপ্তরের নজরে আসতে পারেন এবং নোটিশ পেতে পারেন।

দৈনিক নগদ লেনদেনের সীমা কত?

অনেকের মনের প্রশ্ন থাকে যে, দিনে কত টাকা লেনদেন করা যেতে পারে? আয়কর আইনের 269ST ধারা অনুযায়ী একদিনে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকার বেশি নগদ উত্তোলন বা জমা দেওয়ার যাবে না। যদি কোন ব্যক্তি দিনে ২ লক্ষ টাকার বেশি নগদ লেনদেন করে থাকেন, তাহলে সেটিও আয়কর দপ্তরের তালিকায় চলে আসে।

৫০ হাজার টাকার বেশি জমা দিলে প্যান নাম্বার বাধ্যতামূলক

যদি আপনি একবারে নগদ ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি জমা দিতে চান, তাহলে ব্যাংকে প্যান নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক। যদি আপনার প্যান নাম্বার না থাকে তাহলে আপনাকে ফরম ৬০/৬১ পূরণ করে জমা দিতে হবে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আরও পড়ুন: OBC সার্টিফিকেট নিয়ে নয়া নির্দেশ দিল রাজ্য, সুপ্রিম কোর্টের মামলা কতদূর গড়াবে?

আয়কর নোটিশ আসলে কী করবেন?

যদি আয়কর দপ্তর থেকে আপনার কাছে কোন রকম নোটিশ আসে, তাহলে আপনাকে লেনদেনের যথেষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। আপনার আয় কোথা থেকে এসেছে এবং কীভাবে এই টাকা আপনি জোগাড় করেছেন, সেই সংক্রান্ত ডকুমেন্ট প্রস্তুত রাখতে হবে। প্রমাণ হিসেবে আপনি ব্যাংকের স্টেটমেন্ট, বিনিয়োগ সংক্রান্ত ডকুমেন্ট ইত্যাদি জমা দিতে পারেন। 

তাই যদি আপনার নগদ লেনদেন বেশি হয়ে থাকে, তবে এই নিয়মগুলি অবশ্যই মেনে চলুন। কারণ সামান্য ভুলেই আয়কর দপ্তরের নোটিশ পেতে পারেন, যা পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Leave a Comment