পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের জন্য এবার বিরাট সুখবর। কারণ, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ধান চাষীদের মুখে এবার হাসি ফোটানো হয়েছে। কৃষি দফতরের সর্বশেষ ঘোষণায় জানা গিয়েছে যে, এবছর ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। ফলে চাষিরা আগের তুলনায় দ্বিগুণ টাকা পাবে।
বলে রাখি, আজ থেকেই রাজ্যে নতুন হারে ধান ক্রয় শুরু হচ্ছে। সরকার এবার কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কুইন্টাল ধান ২৩৮৯ টাকা কিনবে, যেখানে গত বছর এই দাম ছিল ২৩২০ টাকা। অর্থাৎ, প্রতি কুইন্টালে ৬৯ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
কৃষকদের জন্য নতুন নিয়ম
কৃষকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার এবার ধান বিক্রির নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন এনেছে। আগে যেখানে কৃষকরা খুব সীমিত পরিমাণে ধান বিক্রি করতে পারত, এবার থেকে প্রতি কৃষক সর্বনিম্ন ১৫ কুইন্টাল থেকে সর্বোচ্চ ৯০ কুইন্টাল পর্যন্ত ধান বিক্রি করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে।
আর এই নিয়মের ফলে ছোট থেকে বড়, উভয় শ্রেণীর কৃষক উপকৃত হবে। এমনকি কোনওরকম মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে যেতে হবে না। কৃষক সরাসরি সরকারের কাছেই ধান বিক্রি করতে পারবে। আর সবথেকে বড় সুবিধা, ধান বিক্রির টাকা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে, তাও ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই।
ঘরে বসেই হবে অনলাইন বুকিং
এদিকে সরকার কৃষকদের জন্য সম্পূর্ণ ডিজিটাল বুকিং ব্যবস্থা চালু করেছে। এখন আর ধান বিক্রি করার জন্য লাইনে দাঁড়ানোরও দরকার নেই। সম্পূর্ণ অনলাইনের মাধ্যমে করা যাবে। এর জন্য নিন্মলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন—
- প্রথমে রাজ্য সরকারের অফিসিয়াল কৃষি দফতরের ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
- এবার রেজিস্ট্রেশন অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর আধার নম্বর, জমির বিবরণ এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য ইনপুট করতে হবে।
- এরপর ওটিপি ভেরিফিকেশনের পর সাবমিট করে দিতে হবে।
- এরপর বুকিং সফল হলে আপনাকে ধান নেওয়ার সময় এবং স্থান জানিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ ২০২৬ এর আগেই বাড়তে চলেছে মোবাইল রিচার্জ-এর দাম! এবার কত টাকা বেশি দিতে হবে?
দ্বিগুণ টাকার সুযোগ
কৃষি দপ্তরের এক আধারিকারিক সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, এবার অনেক কৃষকই অনলাইনের মাধ্যমে সরাসরি ধান বিক্রি করছেন। যার ফলে কোনওরকম পাইকার বা মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে যেতে হচ্ছে না। তাই আগের তুলনায় কৃষকদের এবার দ্বিগুণ পরিমাণে টাকা পকেটে ঢুকবে।
সবথেকে বড় ব্যাপার, সরকার সাবসিডি ও বোনাসও দিচ্ছে, যা এই আয়কে আরও বাড়িয়ে তুলবে। ফলে এবার সাধারণ কৃষক প্রচুর পরিমাণে লাভবান হতে পারবে। এদিকে কৃষকরা একটি রেজিস্টার্ড কার্ড ব্যবহার করে পরিবারের একাধিক সদস্যের ধানও বিক্রি করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে।
