হাতে এই মে মাসটাই শুধু আছে। এর মধ্যে ব্যাঙ্কে গিয়ে দ্রুত এই ফর্মটি ফিলাপ করুন। না হলে কিন্তু আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে ভাল পরিমাণ টাকা কেটে নেবে। তাই যে ব্যাংকে আপনার অ্যাকাউন্ট আছে দ্রুত সেখানে গিয়ে Form 15G বা 15H ফিলাপ করুন।
এখানে আমরা আসলে TDS নিয়ে কথা বলছি। উৎসে কর বা TDS-এর কথা অনেকে শুনলেও এটি ঠিক কী বা কীভাবে কাজ করে সেই সম্বন্ধে জানেন না। আয়কর দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ১ জুনের আগে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে Form 15G বা 15H ফিলাপ করতে হবে। না হলে ফিক্সড ডিপোজিট, রেকারিং ডিপোজিট সহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে পাওয়া সুদের উপর ১০% টিডিএস কেটে নেবে আয়কর বিভাগ।
বিষয়টা আরেকটু সহজ করে বলা যাক। ফিক্সড ডিপোজিট, রেকারিং ডিপোজিট মিলিয়ে বছরে যারা ৪০ হাজার টাকার কম সুদ পান তাঁদের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। কিন্তু এই সমস্ত নানান ধরনের অ্যাকাউন্টে রাখা অর্থের জন্য আপনি যদি গত আর্থিক বছরে অর্থাৎ মার্চ মাসের মধ্যে ৪০ হাজার টাকার বেশি সুদ পেয়ে থাকেন তবে এই প্রতিবেদনটি ভাল করে পড়ুন।
আরো পড়ুনঃ মাত্র ৭ টাকায় সোনা কিনুন! অক্ষয় তৃতীয়ার বাম্পার অফার, এইভাবে ফায়দা ওঠান
বছরে ৪০ হাজার টাকার বেশি সুদ পেলেই টিডিএস কাটে আয়কর বিভাগ। এবার আপনার যদি প্যান কার্ড না থাকে তবে ২০% অর্থ ওখান থেকে টিডিএস হিসেবে কেটে নেওয়া হবে। আর যদি আপনার প্যান কার্ড থাকে কিন্তু Form 15G বা 15H এই দুটোর কোনও একটিও ফিলাপ করে না থাকেন তবে আপনাকে ১০% টিডিএস দিতে হবে আয়কর বিভাগকে। এই গোটা প্রক্রিয়ার সারতে হবে ১ জুনের মধ্যে।
যাদের বয়স ৬০ বছরের নিচে তাঁদেরকে এই টিডিএস কাটা ঠেকাতে Form 15G ফিলাপ করতে হবে। আর যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি তাঁদেরকে টিডিএস কাটা ঠেকাতে Form 15H ফিলাপ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মুম্বাইয়ের ম্যাচে এই গল্প মিলে গেলেই KKR এর স্বপ্ন পূরন
তবে কেউ যদি বিভিন্ন আমানত মিলিয়ে বছরের 40 হাজার টাকার কম সুদ বাবদ আয় করে থাকেন তাঁদের এই ঝামেলার মধ্যে যেতে হবে না। হাতে সময় কিন্তু ক্রমশ কমে আসছে। ফলে আর দেরি না করে টিডিএস কাটা ঠেকাতে দ্রুত ব্যাঙ্কে গিয়ে ফর্ম ফিলাপ করুন।