কোন ভুলে যাওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ফেলে রাখা বীমা পলিসি কিংবা পুরনো ডিমান্ড অ্যাকাউন্টে আপনার কষ্টার্জিত অর্থ (Unclaimed Money) থাকতে পারে, এমনটা কি জানেন? হ্যাঁ, হাজার হাজার মানুষের ভুলে যাওয়া টাকা জমে দাঁড়িয়েছে আজ ৭৮ হাজার ২১৩ কোটিতে। আর সেই টাকা ফেরত দিতে কেন্দ্র সরকার এবার বিরাট পদক্ষেপ নিচ্ছে।
টাকা থাকতেও কেউ তুলছে না!
আসলে ভারতে ব্যাংকে, বীমা কোম্পানি বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন অনেক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যেগুলি বছরের পর বছর ধরে আর ব্যবহার করা হয়নি। আর সেই অ্যাকাউন্টগুলোতে অনেক দাবিহীন অর্থ (Unclaimed Money) পড়ে রয়েছে।
এবার সেই টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি। আর এই পরিস্থিতির সামনে রেখে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মল সীতারমন ঘোষণা করেছে যে, এই টাকাগুলিকে আবার তাদের মালিকের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে।
জেলা ধরে টাকা ফেরত দেবে অর্থমন্ত্রী
সম্প্রতি মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ২৯তম Financial Stability and Development Council বৈঠকে অর্থমন্ত্রী নির্মল সীতারমন জানিয়েছেন, জেলা ধরে ক্যাম্প করে এবার দাবিহীন অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। আর এই কাজ যত দ্রুত সম্ভব তত দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। এমনকি এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য এবার একসঙ্গে RBI, SEBI, IRDAI, PFRDA এর আধিকারিকরা কাজ করবে।
জানা যাচ্ছে, এই ক্যাম্পগুলিতে কাজ করবে ব্যাংক, বিমা সংস্থা, ডিপোজিটরি সহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি। আর এদের লক্ষ্য একটাই, আসল মালিকদের চিহ্নিত করে টাকা পৌঁছে দিতে হবে। যারা এই টাকার যোগ্য দাবিদার, তাদের সুবিধার্থে KYC প্রক্রিয়া সহজ এবং ডিজিটাল করারও নির্দেশ দিয়েছে অর্থমন্ত্রী।
কোথা থেকে আসছে এত টাকা?
প্রথমত, বহুদিন ধরে নিষ্ক্রিয় ভাবে পড়ে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রচুর টাকা জমা রয়েছে। দ্বিতীয়ত, মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যা সত্ত্বেও দাবি না করা বিমার অর্থ এর ভেতরে রয়েছে। তৃতীয়ত, ব্যবহার না করা ডিমাট বা মিউচুয়াল ফান্ড অ্যাকাউন্টের টাকা রয়েছে। এছাড়া পুরনো অফিসের প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে ফেলে রাখা টাকা এর মধ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাত্র ১৯৯৯ টাকায় বাড়ি আনুন পোর্টেবল এসি! কোথা থেকে কিনবেন দেখুন
কীভাবে আপনি জানবেন, আপনার টাকা রয়েছে কিনা?
প্রথমত, বহুদিন ধরে লেনদেন হয়নি, এরকম কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকলে ব্যাংকে গিয়ে খোঁজ নিন। দ্বিতীয়ত, পুরনো কোনও পলিসি থাকলে বা মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়ে থাকলে দাবি করুন। তৃতীয়ত, NSDL/CDSL বা ফান্ড হাউসের মাধ্যমে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করুন। এছাড়া UAN নাম্বার দিয়ে EPFO-র ওয়েবসাইটে গিয়ে লগইন করে স্টেটমেন্ট চেক করে ফেলুন।