ভোটার কার্ড আছে তো কি হয়েছে! তবুও এরা ভোট দিতে পারবেন না

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ভোটার কার্ড বা ভোটার আইডি থাকলেই আপনি ভোট দিতে পারবেন, এমনটা কিন্তু নয়। দেশে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠিক সেই সময় এমন একটা কথা শুনে হয়ত আপনি চমকে উঠেছেন, ভাবছেন এ কী অবাক কথা। ভোটার কার্ড থাকা সত্ত্বেও ভোট দিতে পারব না! কিন্তু বাস্তবটা হল একদমই তাই। কেন ভোটার কার্ড থাকলেও আপনি ভোটদানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন সেটা এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল।

দেখুন এদেশে ভোট দিতে গেলে বৈধ ভোটার কার্ড থাকা দরকার। তবে সচিত্র পরিচয় পত্র হিসেবে ভোটার কার্ড ছাড়াও পাসপোর্ট, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথিকে মান্যতা দেওয়া হয়। তবে ভোটদানের ক্ষেত্রে ভোটার আইডিকেই প্রধান সচিত্র পরিচয় পত্র হিসেবে মেনে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আপনি ভোটার হিসেবে যদি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তালিকাভুক্ত বা লিস্টেড না হন তাহলে কোন‌ওভাবেই ভোটদানের সুযোগ পাবেন না

অর্থাৎ ভোট দান করতে হলে সবার আগে ভোটার লিস্টে আপনার নাম থাকতে হবে। ১৮ বছর বয়স হলেই ভারতের ছেলেমেয়েরা ভোটার আইডি বা ভোটার কার্ড করানোর সুযোগ পায়। কিন্তু ভোটার কার্ড থাকা মানেই আপনি ভোটদানের সুযোগ পেয়ে যাবেন তেমনটা নয়, এর জন্য ভোটার লিস্টে নিজের নাম তুলতে হবে

আরো পড়ুনঃ কৃষক বন্ধুর টাকা কবে ঢুকবে? এইভাবে স্ট্যাটাস চেক করে দেখুন

আবার অনেকের ভোটার লিস্টে থাকা নাম কোন‌ও কারণে পরবর্তীকালে বাদ পড়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিষয়টি সংশোধন করে আবার নিজের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

ভোটার লিস্টে আপনার নাম আছে কিনা তা জানার জন্য নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ মত 1950 নম্বরে এসএমএস বা Saksham App এর মাধ্যমে বিষয়টি মোবাইলেই দেখে নিন। এবার যদি দেখেন ভোটার তালিকা থেকে কোন‌ও কারণে আপনার নাম বাদ পড়েছে, তবে দ্রুত নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার চেষ্টা করুন।

নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ভোটদানের ১০ দিন আগে পর্যন্ত ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করা যায়। সেই অনুযায়ী যাদের ভোট এখন‌ও বাকি তারা কিন্তু কেউ চাইলে দ্রুত ভোটার তালিকায় নিজের নাম তুলে নিতে পারেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আরো পড়ুনঃ ব্যাংক থেকে লোন নিন বা না নিন, ১ অক্টোবর থেকে লোনের এই নিয়ম চালু হবে

তবে সবশেষে একটা কথা বলার, নিজে বৈধ ভোটার হলে যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে সঠিক সময়ে ভোট দান কেন্দ্রে গিয়ে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুন। ভোট দানের অধিকারকে কখনও অবহেলা করা উচিত নয়।

Leave a Comment