এবার গ্রাজুয়েট হলেই করা যাবে PhD. নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে চার বছরের স্নাতক কোর্স চালু করতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা UGC. তারাই জানিয়েছে ৭৫ শতাংশ নম্বর সহ এই চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করলেই নেট পরীক্ষায় বসা যাবে এবং পিএইচডি করতে পারবে পড়ুয়ারা।
উল্লেখ্য বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী তিন বছরের স্নাতক কোর্স শেষে দু’বছরের স্নাতকোত্তর বা মাস্টার ডিগ্রি পড়তে হয়। সেই মাস্টার ডিগ্রিতে ৫৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাস করলে তবেই নেট পরীক্ষা দিয়ে পিএইচডি করা সম্ভব। কিন্তু নতুন নিয়মে মাস্টার ডিগ্রি করার ঝামেলায় আর যাওয়ার দরকার নেই। তবে ইউজিসি জানিয়েছে, যে পড়ুয়ারা ৭৫ শতাংশ নম্বর সহ চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি উত্তীর্ণ হতে পারবে না তাদের পরবর্তীতে পিএইচডি করার জন্য পুরানো নিয়মের দ্বারস্থ হতে হবে।
আরো পড়ুনঃ রাজ্যে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে! এর মধ্যেই সুখবর শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী
অর্থাৎ পুরানো নিয়ম অনুযায়ী স্নাতক ডিগ্রির পর মাস্টার ডিগ্রি-তে ভর্তি হতে হবে এবং সেখানে ৫৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাস করতে হবে। পাশাপাশি পিএইচডি-এর নিয়মে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। তারা জানিয়েছে, এবার থেকে একমাত্র নেট দিয়েই পিএইচডি করতে পারবে পড়ুয়ারা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নিজস্ব পিএইচডি এন্ট্রান্স টেস্ট বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে।
নতুন নিয়মের ফলে মেধাবী পড়ুয়াদের সুবিধা হলেও সার্বিকভাবে উচ্চশিক্ষার পরিসর আরও সঙ্কুচিত হবে বলে শিক্ষাবিদদের একাংশের অভিযোগ। অপরদিকে ইউজিসি নিয়ম করেছে, কোনও একজন পড়ুয়া যে বিষয় নিয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করবে পিএইচডি এন্ট্রান্স টেস্ট অর্থাৎ নেটে সম্পূর্ণ অন্য বিষয় নিয়েও তারা পরীক্ষায় বসতে পারে। অর্থাৎ একজন পড়ুয়া যে বিষয় নিয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করবে তার থেকে অন্য বিষয় নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ তার সামনে খুলে যেতে চলেছে।
আরো পড়ুনঃ মে মাসে বাতিল হবে এইসব লোকের রেশন কার্ড! সরকারি নির্দেশিকা জারি হল
এদিকে ৭৫ শতাংশ নম্বর সহ স্নাতক উত্তীর্ণ হওয়ার নিয়মটি এসসি, এসটি, ওবিসি এবং শারীরিকভাবে বিশেষ সক্ষমদের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে ৭০% নম্বর পেলেই পিএইচডি করার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে, সেই নিয়ম আনতে পারে ইউজিসি। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।