রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য আবারও নিরাশার দিন সামনে আসলো। বহু প্রতীক্ষিত ডিএ মামলার শুনানি আজও হলো না। এতে হতাশ বাংলার হাজার হাজার সরকারি কর্মচারীরা, যারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রাপ্য দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ করছিল। আর তাদের ন্যায্য পাওনার সুরহা এখনো মিলল না।
এই নিয়ে ১৮ বার পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি
আজ দুপুর ২ টোর সময় সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তার শুনানি হয়নি। আর এ নিয়ে টানা ১৮ বার পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। শেষবার শুনানি হয়েছিল ২০২৪ সালের ১লা ডিসেম্বর। আর এরপর থেকে প্রতিবারই আশা ভঙ্গ হচ্ছে কর্মচারীদের।
নতুন প্রধান বিচারপতি, নতুন দিনে শুনানি
আজ দেশের ৫২ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন ভূষণ রামকৃষ্ণ গাভাই। সবাই ভেবেছিল হয়তো নতুন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে কোন সুরাহা মিলবে। তবে না, আজকের দিনেও শেষমেষ সেই একইভাবে আশা ভঙ্গ হয়েছে হাজার হাজার সরকারি কর্মচারীদের।
আগামী শুনানি কবে হবে?
এই প্রশ্ন এখন বাংলার সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের মাথায় ঘুরছে। তবে জানা গিয়েছে যে, আগামী শুক্রবার পরবর্তী শুনানি হতে পারে। কিন্তু অনেকেই বলছেন যে, আগেও সম্ভাবনা ছিল, তারপর মামলা পিছিয়ে গিয়েছে। এবারও হয়তো তেমনটা হতে পারে। তবে আইনজীবী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, এবার আর মামলার শুনানি পেছানো হবে না।
কী বলছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য?
আজকের শুনানি না হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিনিয়র আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য মুখ খোলেন। তিনি বলেন যে, আজ দুপুর ২ টোর সময় শুনানি হওয়ার কথা ছিল। আমরা আদালতে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু সময় মত শুনানি হলো না। শুক্রবারের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। আশা করছি সেদিন এই মামলার শুনানি হতে পারে।
তিনি আরো বলেছেন, বারবার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার ফলে কর্মচারীরা দিনের পর দিন সমস্যার মুখোমুখি পড়ছেন। তাদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। আর আমরাও দ্রুত এই মামলার শুনানির সমাধান চাইছি।
আরও পড়ুন: ভারতের ১ টাকা পাকিস্তানে কত? হিসাব দেখলে চক্ষু চড়কগাছে উঠবে
রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক ঘোষণা
এদিকে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৪% হারে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে। যার ফলে বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মোট ডিএ দাঁড়িয়েছে ১৮%। ২০২৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেটে অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই ঘোষণা করেছিলেন। তবে কর্মচারীদের একটাই দাবি, তাদের বকেয়া ডিএ ফেরত দিতে হবে। এখন দেখার, আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানি হয়, নাকি আবারও পিছিয়ে যায়।