রান্নার গ্যাসের ক্রমবর্ধমান দাম সাধারণ মানুষ, বিশেষত গরীব এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি মাসের শুরুতেই রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করে থাকে, যা সারা মাস অপরিবর্তিত থাকে।
তবে অনেকেই ১৪ কেজির গৃহস্থ LPG সিলিন্ডার কিনতে হিমশিম খান। এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়ান অয়েল (Indian Oil) একটি নতুন ধরণের গ্যাস সিলিন্ডার বাজারে নিয়ে এসেছে, যার নাম কম্পোজিট সিলিন্ডার।
Indane কম্পোজিট সিলিন্ডার কী?
কম্পোজিট গ্যাস সিলিন্ডার হল একটি আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হালকা ও পরিবহনযোগ্য গ্যাস সিলিন্ডার। এই সিলিন্ডারে মোট গ্যাসের পরিমাণ থাকে ১০ কেজি। সাধারণ গৃহস্থ LPG সিলিন্ডারের তুলনায় এই সিলিন্ডারের দাম ৩৫০ টাকা কম। এটি বিশেষ করে গরিব ও নিন্মবিত্ত পরিবারগুলির জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক হয়ে উঠবে।
কম্পোজিট সিলিন্ডারের দাম ও ব্যবহার
কম্পোজিট সিলিন্ডার গৃহস্থ LPG সিলিন্ডারের তুলনায় অনেকটা সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাবে। এর ফলে অনেকটাই অর্থনৈতিক চাপ কমবে সাধারণ মানুষের। উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে ইতিমধ্যেই এই সিলিন্ডার ব্যবহার শুরু হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে এখনো এই বিশেষ সিলিন্ডার চালু হয়নি। আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই বাংলার মানুষও এই সিলিন্ডারের সুবিধা পেতে শুরু করবেন।
কম্পোজিট সিলিন্ডারের বিশেষ বৈশিষ্ট্য
কম্পোজিট সিলিন্ডারের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
- হালকা ওজন- এই সিলিন্ডারটি ওজনে অনেকটাই হালকা। তাই এটিকে সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়।
- দাম সাশ্রয়- গৃহস্থ LPG সিলিন্ডারের তুলনায় ৩৫০ টাকা কম দামে এই সিলিন্ডার পাওয়া যায়, যা গরিব মানুষকে আর্থিকভাবে সাহায্য করবে।
- উন্নত প্রযুক্তি- এই সিলিন্ডার আধুনিক উপকরণ দিয়ে তৈরি, যা সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
উজ্জ্বলা যোজনার সাথে তুলনা
উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে গ্রাহকদের ভর্তুকি সহ গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করা হলেও সাধারণ গ্রাহকদের ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম এখনো অনেকাংশেই বেশি। তুলনামুলকভাবে কম্পোজিট সিলিন্ডার সেই খরচ কমাতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: ৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে বিমা সখী যোজনা! ২-১ হাজার না, মিলবে এত টাকা
কিভাবে পাবেন এই সিলিন্ডার?
কম্পোজিট সিলিন্ডার কেনার জন্য ইন্ডিয়ান অয়েলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়া স্থানীয় Indane গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।
কম্পোজিট সিলিন্ডারের মাধ্যমে রান্নার গ্যাসের ব্যয় সাশ্রয়ের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা সাধারণ মানুষের আর্থিক চাপ অনেকটাই কমাবে আশা করা যাচ্ছে। বিশেষত গরিব ও নিন্মবিত্ত পরিবারের জন্য এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর বিকল্প হতে পারে। খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গেও এই সিলিন্ডার চালু করা হবে।