পশ্চিমবঙ্গের সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer)-দের জন্য সুখবর। কারণ রাজ্য সরকার তাদের টার্মিনাল সুবিধা বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে। জননিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই ভলেন্টিয়াররা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তার জন্য পুজোর আগে এই উপহার সরকারের। 1 এপ্রিল, 2024 থেকে কার্যকর হয়েছে এই বড় সুবিধা।
অবসরে আরো বেশি টাকা পাবে সিভিক ভলেন্টিয়াররা
2020 সালে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 60 বছর বয়সে পৌঁছানোর পরে সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য 3 লক্ষ টাকার এককালীন টার্মিনাল সুবিধা চালু করেছিলেন। এই উদ্যোগটি তাঁদের পরিষেবার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
তবে বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির মাজারে এই পরিমাণ নেহাতই কম। তাই তাঁদের অবদানের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে, এই ভলেন্টিয়াররা এবার থেকে অবসর নেওয়ার পরে 5 লক্ষ টাকার একটি টার্মিনাল সুবিধা পাবেন। যা আগে মাত্র 3 লক্ষ টাকা ছিল৷ রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই বৃদ্ধির পরিমাণ নিশ্চিত করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পাবলিক সার্ভিস গ্রুপের চাহিদা পূরণের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টার্মিনাল বেনিফিট বৃদ্ধির মাধ্যমে, সরকার অবসরপ্রাপ্তদের জন্য শুধুমাত্র একটি আরও উল্লেখযোগ্য আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য প্রদান করছে না বরং সমাজে তাঁদের সেবার মূল্যকে আরও শক্তিশালী করছে।
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বোনাসের টাকাও বেড়েছে
এখানেই শেষ নয়, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য এর আগেও সদয় হয়েছিল রাজ্য সরকার। 21শে অগস্ট, 2024-এ, পশ্চিমবঙ্গের অর্থ বিভাগ সিভিক এবং ভিলেজ পুলিশদের জন্য অ্যাড-হক বোনাস বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিল। 2023-2024 সালের জন্য, বোনাস প্রতি বছর 5,300 টাকা থেকে বাড়িয়ে 6,000 টাকা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে মমতার বিরুদ্ধে FIR, কে এবং কেন করল এই কাজ?
সিভিক ভলেন্টিয়াররা কী কী কাজ করেন?
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা: সিভিক ভলান্টিয়াররা তাঁদের নির্ধারিত পুলিশ ইউনিটের মধ্যে ট্রাফিক পরিচালনা করতে সাহায্য করে।
উৎসবে নিরাপত্তা: তাঁরা প্রধান রাষ্ট্রীয় উৎসবের সময় পুলিশকে সহায়তা করে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
পার্কিং নিয়ন্ত্রণ: তাঁরা গাড়ি পার্কিং নিয়ম বজায় রাখতে এবং এই অত্যন্ত জটিল ট্র্যাফিক পরিস্থিতিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
অ্যাসাইনমেন্ট: বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের ইউনিট প্রধানরা সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব ও কাজ অর্পণ করেন।