নতুন বছরে বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিলে রাজ্য সরকার। প্রায় ১১ লক্ষ উপভোক্তাকে ইতিমধ্যে প্রথম পর্যায়ের টাকা দেওয়ার কাজ শেষ করার পর এবার আরো ১ লক্ষ উপভোক্তাকে অন্তর্ভুক্ত করা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। এর ফলে প্রকল্পটি আরো বিস্তারিত হবে এবং সাধারণ মানুষের জন্য উপযোগী হয়ে উঠেছে।
আবাস যোজনায় নতুন সংযোজন
বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ১১ লক্ষ উপভোক্তাকে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়ে গেছে। এবার নতুন করে আটটি জেলার প্রায় ১ লক্ষ উপভোক্তাকে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার।
পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, উপভোক্তাদের মধ্যে যে ব্যবধান তৈরি হয়েছিল, তা পূরণ করতেই প্রায়োরিটি ওয়েটিং লিস্ট থেকে কিছু নতুন উপভোক্তাকে আবাস যোজনা তালিকায় যোগ করা হয়েছে।
কেন্দ্রের বরাদ্দ ছাড়াই রাজ্যের উদ্যোগ
কেন্দ্র সরকারের বরাদ্দ বন্ধ হওয়ার কারণে রাজ্য সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে এই প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ডিসেম্বর মাসে এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কিস্তি প্রদান করেছে প্রত্যেক উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে।
তিনি বলেছেন, “যারা এখনো টাকা পাননি তাদেরও দুটি কিস্তিতে আবাস যোজনার টাকা দেওয়া হবে। ২০২৬ সালের মধ্যেই প্রকল্পের সমস্ত টাকা দেওয়া শেষ হবে।”
আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ এবং পুনরায় যাচাই
অতীতে বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তাই এবার উপভোক্তাদের তালিকা চূড়ান্ত করার আগে কঠোর যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। প্রতিটি জেলার ফাইনাল তালিকা তৈরির সময় পুনঃ যাচাই করা হবে, যার ফলে কিছু উপভোক্তা এই তালিকা থেকে বাদ পড়বে। এর ফলে কিছু অর্থ বেঁচে যাবে এবং নতুন উপভোক্তাদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: মমতার বড় ঘোষণা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে উপভোক্তার সাথে ভাতার পরিমাণ বাড়ছে
আবাস যোজনার লক্ষ্য
মোট ২৮ লক্ষ উপভোক্তাকে আবাস যোজনা প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
তিনি বলেছেন, “আমাদের লক্ষ্য ২০২৬ সালের মধ্যেই সমস্ত উপভোক্তাকে আবাস যোজনার প্রকল্পের আওতায় এনে তাদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়া।”
বাংলা আবাস যোজনার এই নতুন উদ্যোগ রাজ্যবাসীর জন্য বড় আশার আলোয় নিয়ে এসেছে। রাজ্যের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার উদ্যোগ এবং আরও ১ লক্ষ উপভোক্তাকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের মানুষের প্রতি প্রতিশ্রুতিকে আরো দৃঢ় করে তুলছে।