নতুন বছরের শুরুতে বাংলার কৃষকদের জন্য দারুন একটি সুখবর নিয়ে আসলো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকার ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পের আওতায় এবার ৯ লক্ষ কৃষকের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি ৩৫০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পের আওতায় আমরা বাংলার ৯ লক্ষ কৃষককে সরাসরি তাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টের মাধ্যমে ৩৫০ কোটি টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা শুরু করছি।”
কারা পাবেন এই সহায়তা?
মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট অনুযায়ী, চলতি খরিফ মরশুমে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় দানা এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের এই আর্থিক সুবিধা পাবেন। তবে বীমার জন্য কৃষকদের কোন রকম খরচ করতে হবে না। প্রকল্পের আয়তায় আলু, আখ সহ সমস্ত ফসলের প্রিমিয়ামের পুরো টাকায় রাজ্য সরকার বহন করবে।
প্রকল্পের সাফল্য
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকার মোট ১ কোটি ১২ লক্ষ কৃষককে ৩৫৬২ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয়, এই প্রকল্পের জনপ্রিয়তা কতদূর এগিয়েছে।
প্রাকৃতিক বিপর্যয় কৃষকদের দুরাবস্থা
গত কয়েক মাসে এই রাজ্যে বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে কৃষকদের ব্যাপক পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, “প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে রাজ্যের প্রায় ৯ লক্ষ কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই আর্থিক সাহায্য তাদের চাষের ক্ষতিপূরণে সাহায্য করবে এটা আশা করা যায়।”
আরও পড়ুন: ডিএ বাড়বে নাকি ছাঁটাই হবে? রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
আরো উদ্যোগ
সম্প্রতি রাজ্য সরকার বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের অধীনে ১২ লক্ষ পরিবারের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। এবার ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের জন্য বড় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আমরা প্রথম থেকেই বাংলার কৃষকদের পাশে ছিলাম, পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও পাশে থাকব।” এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার প্রমাণ করছে যে, তারা বাংলার কৃষকদের জন্য সব সময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।