সরকারি কর্মচারীদের জন্য খারাপ খবর। মার্চ মাসে সরকারি কর্মচারীদের বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কয়েকটি ভাতা বাতিল করার কথা বিবেচনা করছে, যার ফলে অনেক কর্মচারীর বেতন কমে যেতে পারে। এটি সরকারি কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ এটি সরাসরি তাঁদের আয়ের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
বর্তমান পরিস্থিতি
এই বছরের শুরুতে, কেন্দ্রীয় সরকার ৮ম বেতন কমিশন গঠনের অনুমোদন দিয়েছে, যার ফলে সম্ভাব্য বেতন বৃদ্ধি নিয়ে অনেক জল্পনা শুরু হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি এবং পেনশন বৃদ্ধির বিষয়ে কমিটির সিদ্ধান্তের জন্য কর্মীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
যদিও কমিটি এখনও গঠন করা হয়নি, তবে আশা করা হচ্ছে যে এটি ভাতা বাতিল বা চালু করা সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমাধান করবে। এমন সময়ে আবার ভাতা বাতিলের খবর কেন?
সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে, সরকার ১৯৬টি ভাতা পর্যালোচনা করেছে, ১০১টি ভাতা বাতিল করেছে এবং ৯৫টি ভাতা অনুমোদন করেছে। আর এখন, অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে আলোচনা চলছে বলেই কিছু ভাতা বন্ধ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সেভিংস অ্যাকাউন্টে কত টাকার বেশি লেনদেন করলে আয়কর নোটিশ আসে?
আর্থিক দিক বজায় রাখতে তাই কমিটি পুরানো, অপ্রয়োজনীয় ভাতা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে অথবা এমনকি নতুন ভাতা চালু করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এককথায়, যদি অষ্টম বেতন কমিশন সপ্তম বেতন কমিশনের মতো একই পথ অনুসরণ করে, তাহলে অনেক ভাতা হ্রাস বা বাদ দেওয়া হতে পারে।
অর্থাৎ এই পরিস্থিতি দেখে এটাই বোঝা যাচ্ছে যে অষ্টম বেতন কমিশন নতুন নিয়ম বা সুযোগ-সুবিধা চালু করতে পারে ঠিকই, তবে এটি কেন্দ্রীয় কর্মীদের বেতনের উপরও কীভাবে প্রভাব ফেলবে তা এখনও অনিশ্চিত। পরিস্থিতি সম্পর্কে যে কোনও সরকারি আপডেটের জন্য সরকারি কর্মচারীদের এখন সতর্ক থাকা উচিত।