রাজ্যের যুবকদের চাকরি খুঁজতে সহায়তা করার পাশাপাশি, উপযুক্ত চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত বেকারত্ব ভাতাও প্রদান করে রাজ্য সরকার। বেরোজগারি ভাতা যোজনা 2024-এর অধীনে প্রতি মাসে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত দেবে রাজ্য সরকার। একটি রাজ্য সরকার তাদের রাজ্যের বেকার যুবকদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করার জন্য এই প্রকল্পটি চালু করেছে।
বেরোজগারি ভাতা যোজনা 2024-এর অধীনে কারা সুবিধা পাবেন?
1) এই প্রকল্পের অধীনে, 12 তম থেকে স্নাতক হওয়া আবেদনকারীদের চাকরি ভাতা দেওয়া হয়।
2) চাকরি না থাকলে টাকা পাবেন।
3) আবেদনকারীকে অবশ্যই উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
4) আবেদনকারীর পারিবারিক বার্ষিক আয় 300000 টাকার কম হতে হবে।
5) আবেদনকারীকে দ্বাদশ শ্রেণী বা স্নাতক পাস হতে হবে।
6) আবেদনকারীর বয়স 21 থেকে 35 বছর হতে হবে।
কী সুবিধা পাওয়া যায়?
1) এই প্রকল্পের অধীনে, প্রতি মাসে ₹ 1000 থেকে ₹ 1500 আর্থিক পরিমাণ দেওয়া হয়।
2) এই ভাতা প্রার্থীকে দেওয়া হয় যতক্ষণ না তিনি একটি নির্দিষ্ট চাকরি পান।
আরও একটি বিশেষ সুবিধা
বেকারত্ব ভাতার পাশাপাশি, এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী প্রার্থীদের বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তিও প্রদান করা হয়। এই স্কিমে, বেসরকারী এবং সরকারী সংস্থাগুলিও নিজেদের জন্য কর্মচারী নির্বাচন করার সময়, এই স্কিমের প্রার্থীদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি পাঠায়।
এই স্কিমের সুবিধাভোগীদের কর্মসংস্থান সঙ্গম এবং কর্মসংস্থান মেলাতেও ডাকা হয়। আরও ভাল কাজের সুযোগ খুঁজে পেতে সাহায্য করা হয়।
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র
- আবেদনকারীর আধার কার্ড
- আবেদনকারীর পরিচয় শংসাপত্র
- আবেদনকারীর বসবাসের শংসাপত্র
- আবেদনকারীর বয়সের শংসাপত্র
- আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং মার্কশিট আবেদনকারীর আধার কার্ডের সাথে সংযুক্ত মোবাইল নম্বরএবং আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি
আবেদন কীভাবে করতে হবে?
বেরোজগারি ভাতা স্কিম 2024- এর জন্য আবেদন করতে, প্রার্থীকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে।
1) প্রথমে প্রার্থীকে সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
2) হোম পেজে বেরোজগারি ভাতা যোজনা 2024 লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে।
3) এই লিঙ্কে ক্লিক করার পরে, আবেদনকারীকে নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করে, লগইন তথ্য পেতে হবে।
4) তারপর, প্রার্থীকে পোর্টালে লগইন করতে হবে।
5) লগ ইন করার পরে, আবেদনকারীকে প্রদত্ত আবেদনপত্রটি সাবধানে পূরণ করে, প্রয়োজনীয় নথিগুলি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
6) এর পরে আবেদনপত্র এবং নথি জমা দিতে হবে।
7) প্রার্থীর জমা দেওয়া আবেদন এবং নথিপত্রের যাচাইকরণ করে, সরকারী আধিকারিক দেখবেন যে আবেদনকারী টাকা পাওয়ার যোগ্য কিনা।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল রিচার্জের খরচ তো বাড়লোই, এবার সিম পোর্ট করাও কঠিন হয়ে গেল
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ সরকার নয়, উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজ্যের বেকার যুবকদের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পরিচালনা করেছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার, ঐ রাজ্যে বসবাসরত বেকার যুবকদের অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম করার জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় তরুণদের ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি তাদের নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার জন্য লোন দেওয়া হচ্ছে। যতক্ষণ না যুবকরা চাকরি পাচ্ছেন, এই রাজ্য সরকার যুবকদের বেকারত্ব ভাতা প্রদান করছে।