খাওয়ার সময়ও ফোন ছাড়ছে না বাচ্চা! চিন্তা করছেন! দাঁড়ান দারুণ কয়েকটি টিপস দিচ্ছি। জাদুর মতো কাজ হবে।
আজকাল বেশিরভাগ অভিভাবকই শিশুদের মোবাইল আসক্তি নিয়ে খুব চিন্তিত। তবে এর জন্য কিছুটা হলেও তাঁরা নিজেরাই দায়ী।
বাবা-মায়েরা যখন তাঁদের সন্তানদের বেশি সময় দিতে পারেন না, সন্তানদের তখন ব্যস্ত রাখার জন্য তাঁরাছোটবেলা থেকেই ছোটদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেন। শিশুদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মোবাইল আসক্তি শুধুমাত্র তাঁদের মানসিক নয়, শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
এদিকে, শিশুদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মোবাইল আসক্তি দেখে অভিভাবকরা যখন শিশুদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতে শুরু করেন, তখন ছোটরা কান্নাকাটি শুরু করে এবং বিরক্ত হয়ে বিগড়ে যায়।
যদি আপনার সন্তানও একই রকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে, তাহলে আমাদের এই নিবন্ধ দেখে, সন্তানকে মোবাইল আসক্তি থেকে বের করে নিয়ে আসুন। এই কার্যকরী প্যারেন্টিং টিপসগুলি আপনাদের জন্যই-
পারিবারিক সময়
বেশিরভাগ কর্মজীবী পিতামাতার কাছে সন্তানদের সাথে কাটানোর জন্য মানসম্পন্ন সময় নেই। এমন পরিস্থিতিতে সপ্তাহান্তে আপনার সন্তানকে পুরো সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপনার সন্তানের সাথে কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড করতে, তাঁর সঙ্গে গেম খেলুন বা তাঁকে কিছু কার্যকলাপে জড়িত রাখুন।
সন্তানকে একটি মজাদার টাস্ক দিন
কর্মজীবী অভিভাবকরা সন্তানদের মোবাইল থেকে দূরে রাখতে এক সপ্তাহের জন্য একটি বিশেষ টাস্ক দিতে পারেন। এর দরুণ শিশুটি কাজটি সম্পন্ন করতে ব্যস্ত থাকবে, যা মোবাইল থেকে তার মনোযোগ সরিয়ে দেবে। মনে রাখবেন, শিশুকে বকাঝকা করে মোবাইল থেকে আলাদা করে দিলে সে খিটখিটে হয়ে যেতে পারে।
আউটডোর গেমস
মোবাইল আসক্তির কারণে শিশুরা অনেক সময় বাড়ির বাইরে বন্ধুদের সাথে পার্কে খেলতে যেতে চায় না। বেশিরভাগ বাড়িতেই এই অবস্থা দেখা যায়। মোবাইলে গেম খেলার কারণে শিশুরা সময়মতো ঘুমায় না, খাবারও খায় না।
শুধু তাই নয়, পড়াশোনায়ও মনোযোগ দিতে পারে না। দীর্ঘক্ষণ মোবাইলে গেম খেলার কারণে অনেক সময় পর্যাপ্ত ঘুম হয় না এবং তাদের চোখও দুর্বল হয়ে পড়ে।
এমতাবস্থায় আপনার শিশুকে মোবাইল আসক্তির ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে তাকে আউটডোর গেমস ও কাজকর্মে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন। বাচ্চাকে নিয়ে বাগান করুন, সাইকেল চালান, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টনের মতো গেম খেলুন।
এছাড়াও আপনি আপনার বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় তার সামনে ফোন ঘাঁটবেন না। তার সামনে কোনও খেলনা রেখে, ঘুরতে ঘুরতে বাচ্চাকে খাওয়ান। পরিবারের সঙ্গে এক সঙ্গে খেতে বসুন।