ভয়াবহ তাপপ্রবাহে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ। গোটা রাজ্য জুড়েই তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে অস্বস্তি যেন সহ্য ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোয় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। সেইসঙ্গে আদ্রতাজনিত অস্বস্তির কারণে নাজেহাল মানুষ।
আগামী আরও কিছুদিন তাপপ্রবাহ বজায় থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই পরিস্থিতিতে গরমের ছুটি এগিয়ে এনেছে রাজ্য সরকার। আর তারপরই সময়ে সিলেবাস শেষ করার জন্য আবার ফিরে এল অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা।
মোটামুটি যা হিসেব তাতে এক মাসেরও বেশি সময়ের জন্য গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলোয়। পাশাপাশি আইসিএসসি ও সিবিএসসি বোর্ডের বেসরকারি স্কুলগুলোকেও এই নির্দেশিকা মানার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে। তাতেই বেসরকারি স্কুলগুলো মোটামুটি ভালই সাড়া দিয়েছে। তারাও এই তাপপ্রবাহের কারণে আগে স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
আরো পড়ুনঃ ৫০০০ টাকা ডাইরেক্ট অ্যাকাউন্টে দেবে সরকার, ভোটের মধ্যেই বিরাট ঘোষনা নেতার
তবে ভোট এবং তাপপ্রবাহের ধাক্কায় এত লম্বা গরমের ছুটি পড়ায় প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকদের একটা বড় অংশ। তাঁদের বক্তব্য, সরকার বিকল্প পথের সন্ধান করুক। না হলে সময়ে সিলেবাস শেষ করা যাবে না। এটা ঘটনা যে এত লম্বা ছুটি পড়লে সময়ে সিলেবাস শেষ করতে অসুবিধা হবে।
মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ক্ষেত্রে তা একপ্রকার অসম্ভব বলে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু শিক্ষক মন্তব্য করেছেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, স্কুলে পড়ুয়াদের না এনে যদি বিকল্প কোনও পদ্ধতিতে পড়ানোর ব্যবস্থা করা হয় তবে অসুবিধা নেই।
উল্লেখ্য করোনা পর্যায়ে দীর্ঘদিন স্কুল ছুটি থাকার সময় রাজ্যে প্রথম অনলাইন ক্লাসের প্রথা চালু হয়েছিল। প্রথমে বেসরকারি স্কুলগুলোই এই পথে হাঁটলেও ধীরে ধীরে সরকারি স্কুলগুলোও অনলাইনে ক্লাস শুরু করে। এই অনলাইন ক্লাসের জন্যই দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেয় রাজ্য সরকার।
আরো পড়ুনঃ লাইসেন্স ছাড়াই এই গাড়িগুলো চালাতে পারবেন! ২ চাকা, এমনকি ৪ চাকাও
এবার গরমের ছুটির মধ্যেই অনলাইন ক্লাস করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি স্কুলগুলোর একাংশ। কলকাতার যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুল, ভবানীপুর মিত্র ইনস্টিটিউশন, শ্যামবাজার পার্ক ইনস্টিটিউশনর মত সরকারি স্কুলগুলো ইতিমধ্যেই অনলাইন ক্লাস শুরু করেছে। বাকি স্কুলগুলোও ধীরে ধীরে সেই পথে হাঁটতে পারে।
তবে গ্রামের সরকারি স্কুলগুলোর পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস সম্ভব নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের মধ্যে বৈষম্যমূলক উন্নয়ন দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিক্ষাবিদরা।