লোকসভা নির্বাচনের আবহাওয়ার মধ্যে বিরাটি ঘোষণা। এবার মাসে ৫০০০ টাকা করে পাবেন বঙ্গবাসীরা! নতুন এক প্রকল্পের মাধ্যমে এই টাকা দেওয়ার ঘোষণায় সকলেই চমকে উঠেছেন। সেই সঙ্গে খুশি হয়েছেন বহু মানুষ। আসুন এই প্রতিবেদনে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব কীভাবে এই প্রকল্পের টাকা কারা এবং কীভাবে পাবেন।
প্রথম বলে নেওয়া যাক, প্রকল্পের টাকার নামে কোনও মারপ্যাঁচ নেই এখানে। সরাসরি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫০০০ টাকা ঢুকিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। গোটা দেশজুড়ে এই মুহূর্তে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে।
গত ১৭ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট হয়েও গিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। প্রথম দফাতেই তামিলনাড়ুর ৩৯ টি কেন্দ্রেই ভোট গ্রহণ হয়ে গিয়েছে। বাংলার কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার এই তিন কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। সেই প্রথম দফার নির্বাচনের কদিন আগে এক নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা রাখতে গিয়ে এই বিরাট ঘোষণাটি করেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
আরো পড়ুনঃ পিএম কিষানের ১৭ তম কিস্তির টাকা ঢুকবে না, যদি এই কাজটি না করা হয়
তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে নন্দীগ্রামে আয়োজিত হয়েছিল একটি নির্বাচনী সভা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, যে সকল বিজেপি কর্মীদের বিনা অপরাধে জেলবন্দি করা হচ্ছে বিজেপি ক্ষমতায় এলে তাদেরকে মাসে ৫০০০ টাকা করে ভাতা দেবেন।
শুভেন্দু অধিকারীর এই ঘোষণার সঙ্গে এক অর্থে সরাসরি চলতি লোকসভা নির্বাচনের সম্পর্ক নেই। ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে যদি তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান সরকারকে হারিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসে তখন তারা এই বিষয়টি কার্যকর করতে পারে।
তবে দলীয় কর্মীদের মনোবল ধরে রাখতে এবং যারা জেল খাটছে তাঁদের ও তাঁদের পরিবারকে উদ্বুদ্ধ করতে শুভেন্দু অধিকারী এমন ঘোষণা করেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
আরো পড়ুনঃ SSC-এর পুরো প্যানেল বাতিল! প্রায় ২৬ হাজার জন চাকরি হারালো
তবে এমন ধরনের ভাতা বাংলায় আগেও চালু হয়েছে। বামফ্রন্ট সরকার ১৯৭৭ সালে রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক বন্দিদের বিশেষ ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। আগামী দিনে বিজেপি যদি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসতে পারে তবে কোনওরকম অপরাধ না করে রাজনৈতিক কারণে যাদের কারাবাস করতে হয়েছে তাঁদের এই বিশেষ ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারে তারা। তবে স্বাভাবিকভাবেই এই ধরনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।