ভয়াবহ তাপপ্রবাহে পুড়ছে বাংলার একাংশ। গোটা রাজ্য জুড়েই তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেলেও দক্ষিণবঙ্গে অস্বস্তি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই কিছুটা করে বাড়ছে তাপমাত্রা। সেইসঙ্গে আদ্রতাজনিত অস্বস্তির কারণে নাজেহাল অবস্থা মানুষের।
আগামী কিছুদিন আবার মারাত্মক তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস। কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁতে পারে বলেও আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন আবহবিদরা। এই পরিস্থিতিতে বাড়তে চলেছে স্কুলের গরমের ছুটির দিন সংখ্যা। এগিয়ে আসছে ছুটি পড়ার দিন।
গত মাসেই রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর জানিয়েছিল, আগামী ৬ মে থেকে গরমের ছুটি পড়বে রাজ্য সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে। সেই ছুটি চলবে ২ জুন পর্যন্ত।
কিন্তু রাজ্যজুড়ে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ চলায় ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে আগামী ২২ এপ্রিল থেকেই সরকারি স্কুলগুলিতে ছুটি দেওয়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে বলে খবর। রাজ্যের শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা হয়ে যেতে পারে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বর্তমানে যেভাবে তাপপ্রবাহ চলছে তাতে সকাল ১০ টার পর থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত বাইরে না বেরোনোই ভাল। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল এবং গ্লুকোজ খেতে হবে। কারণ এই গরমে শরীর জলশূন্য হয়ে পড়লেই ঘটে যেতে পারে চরম দুর্ঘটনা।
চিকিৎসকদের এই পরামর্শের পাশাপাশি স্কুলে এসে ক্লাস করতে গিয়েও পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। গরমে অতিরিক্ত ঘাম হয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ছে তারা। এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের অনুরোধ এবং গুরুত্ব বিবেচনা করে সম্ভবত গরমের ছুটি বাড়াতে চলেছে রাজ্য সরকার।
বছরের শুরুতে ঘোষণা করা হয়েছিল গরমের ছুটি ১০ দিনের দেওয়া হবে। পরে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় গরমের ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে ২২ দিন করার কথা ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে ২২ এপ্রিল অর্থাৎ আগামী সোমবার থেকে গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাতে গরমের ছুটির মোট মেয়াদ এক মাসের বেশি হয়ে যাবে। কারণ লোকসভা নির্বাচন চলায় এমনিতেই ২ জুনের আগে স্কুল খোলার সম্ভাবনা প্রায় নেই বলা চলে।
আরো পড়ুন: মোবাইলের ১০,০০০ টাকা তো দিচ্ছেই! এবার ১৮,০০০ দেবে সরকার
উল্লেখ্য লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণের কারণে ইতিমধ্যেই ১৬ থেকে ২০ এপ্রিল কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া দার্জিলিং, কালিম্পং ও দুই দিনাজপুরে স্কুল বন্ধ থাকবে ২৪ থেকে ২৭ এপ্রিল। ওই সময় সেখানে হবে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ পর্ব চলবে।