প্রতিমাসের শেষেই আমাদের বিদ্যুতের বিল জমা করতে হয়। অবশ্য সিইএসসি এলাকায় প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল মেটাতে হলেও রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের অধীনে থাকা অঞ্চলে তিন মাস অন্তর বিদ্যুতের বিল মেটানো নিয়ম।
কিন্তু এই বিদ্যুতের বিলের টাকা জমা করা নিয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। তাই গ্রাহক হিসেবে বিদ্যুৎ বিলের অর্থ জমা করার সময় আপনাকে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। না হলে কিন্তু টাকা দিয়েও আপনি রেহাই পাবেন না। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা এসে আপনার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে।
সাধারণত শহর এবং শহর লাগোয়া এলাকাতেই বেসরকারি বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা সিইএসসির বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। তাদের বিল পাঠানো এবং সে বিলের অর্থ জমা করার যেমন বহু উপায় আছে, তেমনিই নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বেশ জোরদার।
তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ জনগণকে পরিষেবা দিয়ে থাকে। এদেরও বিদ্যুতের বিল প্রদান এবং সেই টাকা মেটানোর পরিকাঠামো আগের থেকে অনেকটা উন্নত হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে পরিষেবা দেওয়ায় কিছু ক্ষেত্রে এখনও উন্নতি করার অবকাশ থেকে গিয়েছে। আর সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগাচ্ছে প্রতারকরা।
তবে সম্প্রতি বিদ্যুতের বিল নিয়ে যে প্রতারণার ঘটনা সামনে এসেছে তার সঙ্গে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্মীদের একাংশ জড়িত বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে।
সেখানকার গ্রামবাসীরা কুলটির নিয়ামতপুরে রাজ্যবিদ্যুৎ পর্ষদের অফিসে গিয়ে বিদ্যুতের বিলের টাকা মিটিয়ে দেন। কিন্তু টাকা মেটালেও সেখানে কর্মরত কর্মীরা ওই গ্রাহকদের কোনরকম মানি রিসিট বা রশিদ দেননি। পরিবর্তে সাদা কাগজে হাতে লিখে দেন। এমনকি নিয়ম মেনে গ্রাহকদের মোবাইল ফোনে বিদ্যুৎ বিলের টাকা প্রদানের এসএমএসও ঢোকেনি। বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকরা সংশয়ী হলেও খুব বেশি পাত্তা দেননি। কারণ তাঁরা ভেবেছিলেন, বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে গিয়ে যখন টাকা দিয়েছেন তখন আর সমস্যা কিছু নেই।
কিন্তু তিন মাস পরেই বিদ্যুৎ বিলের অর্থ জমা না দেওয়ার কারণে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা ওই গ্রাহকদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে এলে ব্যাপারটি সকলে বুঝতে পারেন। এই ঘটনায় কুলটির নিয়ামতপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুই কর্মী সুব্রত চ্যাটার্জি ও দেবাশিস মাঝির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের বলার, কারোর মুখের কথায় ভরসা করবেন না। বিদ্যুৎ বিলের অর্থ জমা দিয়ে অবশ্যই রিসিট বা রশিদ বুঝে নিন। বিন্দুমাত্র সংশয় থাকলে সেখানে টাকা দেবেন না।
🔥 সরকারি সুবিধা, চাকরির সুবিধা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।
🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇