লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকার কর্মীদের জন্য আরও ৪ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছিল মোদি সরকার। এরপর থেকে আরও বেশ কিছু রাজ্য ধাপে ধাপে ডিএ বাড়িয়েছে তাদের কর্মীদের জন্য। মনে করা হচ্ছে নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সরকারি কর্মীদের সন্তুষ্ট করতেই কেরল, অরুনাচল প্রদেশের পথ অনুসরণ করে দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটক একই কাজ করেছে। কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য ৩.৭৫ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছে।
চলতি মার্চ মাসের গোড়ায় কেন্দ্রীয় সরকার তাদের কর্মীদের জন্য ৪ শতাংশ দিয়ে বৃদ্ধি করে। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতা ৪৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশ হয়েছে। এরপর সেই পথে হেঁটে কেরল সরকারও তাদের রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করে।
১০ থেকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হয়েছে কেরলের রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন। এর ফলে কর্নাটকের রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতা ৩৮.৭৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হল ৪২.৫০ শতাংশ। এর ফলে কর্ণাটক সরকারের উপর বার্ষিক ১৭৯২.১৭ কোটি টাকার আর্থিক বোঝা চাপল।
একই পথ অনুসরণ করেছে বিজেপি শাসিত অরুণাচল প্রদেশ। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটি তাদের কর্মীদের এতদিন কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দিয়ে এসেছে। ফলে কেন্দ্রীয় সরকার ৪ শতাংশ মহার্ঘভাতা বাড়াতেই অরুণাচল প্রদেশ সরকারও তাদের কর্মীদের ৪ শতাংশ মহার্ঘভাতা বাড়িয়েছে। ফলে বর্তমানে অরুনাচল প্রদেশের রাজ্য সরকারি কর্মীরা ৫০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন। এর ফলে অরুণাচল প্রদেশ সরকারের ঘাড়ে বার্ষিক ১২০.২৪ শতাংশ আর্থিক বোঝা চেপেছে।
তবে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে কেরল সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের এক অদ্ভুত টানা পড়েন শুরু হয়েছে যে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি করার পরই কেন্দ্রের থেকে দ্বিগুণ অর্থ দাবি করেছে কেরল সরকার।
লোকসভা ভোটের আগেই সে রাজ্যে বিভিন্ন স্তরের রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ-র পরিমাণ বিভিন্ন হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অবশ্য রাজ্য বাজেটেই সেই ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ব্যাপারটি চালু করে দেওয়া হয়। কেরলের সাধারণ ডিগ্রি কলেজ থেকে শুরু করে ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেল কলেজের অধ্যাপকদের ডিএ এক ধাক্কায় ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। ফলে তা বেড়ে হয়েছে ৩১ শতাংশ।
অপরদিকে বিভিন্ন বিচার বিভাগীয় কর্মীদের আইএএস, আইপিএস আধিকারিকদের দিয়ে ১৬ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছে কেরল সরকার। এর ফলে তাঁদের ডিএ ৩০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪৬ শতাংশ। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের থেকে কেরল সরকারের এই কর্মীদের ডিএ-র ব্যবধান মাত্র ৪ শতাংশ। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্বস্তরের কর্মীদের প্রাপ্য ডিএ-র ব্যবধান এই মুহূর্তে ৪০ শতাংশ, যা মে মাস থেকে একটু কমে ৩৬ শতাংশ হবে।
আর্থিক সঙ্কটে ভুগতে থাকা কেরল সরকারের এই জনমোহিনী সিদ্ধান্তে সরকারি কর্মীরা খুশি। কিন্তু এরপরই রাজ্য সরকার যেভাবে কেন্দ্রের কাছ থেকে অনুদান চেয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
🔥সরকারি সুবিধা, চাকরির সুবিধা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।
🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇
👉 টাকায় হোলির রঙ লাগলে বাতিল? কিন্তু RBI বলছে অন্য কথা
👉 ১৬ তম কিস্তির ২০০০ টাকা দিতে শুরু করল সরকার, টাকা না ঢুকলে এটা করুন
👉 DA-এর পর বেসিক পে নিয়েও সুখবর দিল সরকার, লাখ লাখ কর্মীর মুখে হাসি ফুটল
👉 ৩৩৬০ কোটি টাকা রাজ্যকে দিল কেন্দ্র, গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের জন্য
👉 ৩১ মার্চ শেষ দিন! যা করার এই কদিনেই করুন, সরকার আর সুযোগ দেবে না
👉 মেয়ের পড়াশোনা আর বিয়ের জন্য চিন্তা নেই, এই প্রকল্পে নাম লেখালেই ৭০ লাখ টাকা