বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা ভোট। আর এই সময় স্বাভাবিকভাবে রাজ্যের সবথেকে জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের সাধারণ মানুষের আর্থিক সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এই সামাজিক প্রকল্পটি চালু করেছিল। এই প্রকল্পের আওতায় বাংলার বহু পরিবারের মহিলারা আর্থিক সুবিধা পায়।
লক্ষীর ভান্ডারের পরেও মিলবে সুবিধা
বলাবাহুল্য, শুধুমাত্র ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলাদের মাসিক ভাতা দেওয়া হয় লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায়। তবে ৬০ বছর বয়স পূর্ণ হলে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রাপকরা আবার স্বয়ংক্রিয় ভাবেই রাজ্যের বার্ধক্য ভাতা স্কিমের আওতায় চলে আসে। ফলে আলাদা করে আবেদন করতে হয় না। প্রতিমাসে ভাতা মেলে। রাজ্যের সমাজ কল্যাণ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ মহিলা নতুন প্রকল্পের ভাতা পেতে শুরু করেছে।
কোন কোন প্রকল্পে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাম উঠবে?
লক্ষীর ভান্ডারের বয়সসীমা পার করলে মহিলাদের নামে বার্ধক্য ভাতা, তপশিলি বন্ধু বা জয়জোহার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়। আর সরকারি একটি তথ্য বলছে, বার্ধক্য ভাতায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ৬,৩৪,৮৩৭ জন। পাশাপাশি তপশিলি বন্ধু প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ৪১,৮৯২ জন এবং জয়জোহার প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন ৬,১৬৬ জন।
বাংলার সবথেকে বড় সামাজিক প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার
মহিলা কল্যাণ সমিতি গঠিত এই প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে ২ কোটি ২০ লক্ষের বেশি উপভোক্তা রয়েছেন বলেই রিপোর্ট অনুযায়ী খবর। আর এই প্রকল্পের আওতায় এসটি/এসটি সম্প্রদায়ের মহিলারা প্রতি মাসে ১২০০ টাকা এবং জেনারেল সম্প্রদায়ের মহিলারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে ভাতা পায়। এই প্রকল্পে এতদিন পর্যন্ত ৬৩,৬১৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আধার কার্ড থেকে এটিএম, ১ ডিসেম্বর থেকে বদলে যাচ্ছে একাধিক নিয়ম, এই ৬ টি নিয়মে হবে বদল
ভোটের আগে কি বাড়বে ভাতা?
বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন মহলে সবথেকে বড় প্রশ্ন, বিধানসভা ভোটের আগে কি তাহলে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা বাড়ানো হবে? যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, ভোটের আগে এই প্রকল্পে আর্থিক সুবিধা বাড়ানো হতে পারে।