ঝুঁকি ছাড়া বিনিয়োগ করতে সবাই চায়। আর তার জন্য রয়েছে পোস্ট অফিসের দারুণ একটি সঞ্চয় প্রকল্প (Post Office Scheme), ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট। আসলে আপনি এখানে যত খুশি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন এবং মোটা অংকের রিটার্ন পাবেন। কিন্তু কারা খুলতে পারবেন অ্যাকাউন্ট এবং কীভাবে খুলবেন? কত টাকাই বা বিনিয়োগ করতে হবে? সবটা জানতে হলে প্রতিবেদনটি পড়ুন।
কাদের জন্য এই স্কিম?
ভারতীয় ডাক বিভাগের তরফ থেকে যেমনটা খবর পাওয়া যাচ্ছে, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট মূলত প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা, তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক মিলে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট, অভিভাবক নাবালক বা মানসিকভাবে অক্ষম ব্যক্তি, এমনকি দশ বছর বা তার বেশি বয়সের শিশুরা নিজের নামে খুলতে পারে।
কত টাকা বিনিয়োগ করা যায়?
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই স্কিমে ১০০০ টাকা থেকেই বিনিয়োগ করা যায়। আর আপনি ১০০-এর গুণিতকে যত খুশি টাকা এখানে জমা করতে পারবেন। তবে সবথেকে বড় ব্যাপার, এই স্কিমে কোনও সর্বোচ্চ বিনিয়োগের সীমা নেই। অর্থাৎ, ইচ্ছা মতো বিনিয়োগ করতে পারবেন।
সুদ কত পাওয়া যাবে?
বলে রাখি, বর্তমানে ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট স্কিমে বার্ষিক ৭.৭% হারে সুদ দেওয়া হয়। আর যেহেতু এটি সরকারি স্কিম, তাই বিনিয়োগ থাকবে সম্পূর্ণ নিরাপদ। আর সরকার প্রতি ত্রৈমাসিকে এই স্কিমের সুদের হারে পর্যালোচনা করে এবং পরিবর্তন করে। তবে হ্যাঁ, এখানে আপনার বিনিয়োগের অর্থ পাঁচ বছর পর ম্যাচিওর হবে। অর্থাৎ, পাঁচ বছরের জন্য একবার বিনিয়োগ করলে সুদসহ রিটার্ন ফেরত পাবেন।
থাকছে কর ছাড়ের সুবিধা
তবে আপনি যদি কর সঞ্চয় করতে চান, তাহলে এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। কারণ এখানে আয়কর আইন ১৯৬১-এর ৮০সি ধারা অনুযায়ী সম্পূর্ণ কর ছাড় পাওয়া যায়। অর্থাৎ আপনি বছরে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের উপরে কর ছাড় পাবেন।
তাই বলে রাখি, এই স্কিমে বিনিয়োগের টাকা ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে কোনোভাবেই তোলা যাবে না। তবে কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে টাকা তোলা যেতে পারে। যেমন অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের মৃত্যু, অ্যাকাউন্টে কোনও সদস্যের মৃত্যু, এমনকি কোর্টের নির্দেশে বা গ্যাজেটেড অফিসারের মাধ্যমে বন্ধক দেওয়া হলে টাকা তুলতে পারবেন।
আরও পড়ুন: স্টারলিঙ্ক আসার আগেই চমক দিল Jio! এরকম পরিষেবা কেউ দিতে পারবে না
কীভাবে অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করতে হয়?
ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করা যায়ও নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে। যদি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের মৃত্যু হয়, তাহলে মনোনীত ব্যক্তি বা উত্তরাধিকারী তার নামে এই অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করতে পারে। এমনকি যৌথ অ্যাকাউন্ট হলে অন্য হোল্ডারদের নামে ট্রান্সফার করা যায়। পাশাপাশি কোর্টের আদেশ বা নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বন্ধক রাখা হলে অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করে নেওয়া যায়।