রিজার্ভ ব্যাংকে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে ১০০ টাকা এবং ২০০ টাকার নোট (100 And 200 Note) নিয়ে আসতে বিরাট পদক্ষেপ নিচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফ থেকে সম্প্রতি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের অন্তত ৭৫ শতাংশ এটিএম-এ ১০০ টাকা এবং ২০০ টাকার পর্যাপ্ত নোট রাখতে হবে। আর সেই মতই জোরকদমে কাজ চলছে।
কেন এই বদল আনা হচ্ছে?
অনেক সময় দেখা যায় যে, এটিএম থেকে বড় মূল্যের নোট যেমন ২০০০ টাকা বা ৫০০ টাকা বেরোলে তা বাজারে ভাঙাতে অসুবিধা হয়। এমনকি খুচরো কেনাকাটার সময় মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। আর গ্রামাঞ্চলের মতো জায়গায় ডিজিটাল লেনদেন অতটা জনপ্রিয় নয়। তাই সেই সমস্যা আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
আর এই সমস্যার কথা মাথায়র রেখে রিজার্ভ ব্যাংক চাইছে, দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ছোট মূল্যের নোটের ব্যবহার বাড়াতে, যাতে করে খুচরো বাজার থেকে রিক্সাচালক, সবাই নির্বিঘ্নে নগদে লেনদেন করতে পারে।
এদিকে দেশের সবথেকে বড় ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সংস্থা সিএমএস ইনফোসিস্টেম জানিয়েছে, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রায় ৭৩ হাজার এটিএম এর মধ্যে ৭৩ শতাংশ এটিএমে ১০০ টাকা এবং ২০০ টাকার নোট রাখা হয়েছে। যেখানে গত বছর এই হার ছিল মাত্র ৬৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: কাগজের আধার কার্ডের দিন শেষ! এবার সব হবে ডিজিটালভাবে, নয়া প্রযুক্তি UIDAI-র
RBI-র সময় সীমা
রিজার্ভ ব্যাংক ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এর মধ্যে দেশের ৭৫% এটিএম-এ ১০০ টাকা ২০০ টাকার নোট রাখার অনুমতি দিয়েছে। পাশাপাশি ৩১ মার্চ, ২০২৬-এ এই হার বাড়িয়ে ৯০% এটিএম করারও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
আর এই সিদ্ধান্তের মূল লক্ষ্য, শুধুমাত্র শহরের মানুষ নয়, বরং আরবিআই চাইছে, প্রান্তিক এলাকাতেও সহজে যাতে সাধারণ মানুষ ছোট মূল্যের নোট পায়। কারণ এখন দেশের একটা বড় অংশ নগদের উপর নির্ভরশীল। সেখানে ৫০০ বা ২০০০ টাকার টাকার নোট থাকার ফলে লেনদেনে বিরাট সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।