পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের চালু করা সবথেকে বড় সামাজিক সুরক্ষার প্রকল্প লক্ষীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)। আর এই প্রকল্পকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে যেমন জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে, তেমন বিরোধীদের সমালোচনা। তবে এবার এই প্রকল্প নিয়ে বিধানসভায় বিস্তারিত হিসাব তুলে সকল প্রশ্নের জবাব দিয়েছে রাজ্যের নারী এবং শিশু সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা।
কতজন মহিলা উপকৃত হয় এই প্রকল্পে?
শুক্রবার বিধানসভায় পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা জানতে চাইছিলেন যে, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের বর্তমান চিত্র ঠিক কেমন? জবাবে শশী পাঁজা বলেছেন, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৮ হাজার ৮৭৫ জন মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা খরচ করেছে এই প্রকল্পের জন্য।
৬০ বছর হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পার্থক্য ভাতা
তবে এই পরিসংখ্যানে সঙ্গে উঠে এসেছে আরো এক গুরুত্বপূর্ণ দিক। হ্যাঁ, বয়স্ক মহিলাদের আর্থিক সহায়তা। শশী পাঁজা জানিয়েছেন, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের উপভোক্তাদের মধ্যে যাদের বয়স ৬০ বছর পার হয়ে যায়, তারা সরাসরি বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে স্থানান্তরিত হয়ে যায়। এর জন্য আলাদা করে কোনো আবেদন করতে হয় না।
বর্তমানে ৬ লক্ষ ৮৩৭ জন মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের বদলে বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছে। আর এটি একপ্রকার স্বয়ংক্রিয় রূপান্তর, যা প্রকল্পের শুরু থেকেই ঘোষণা করেছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: বৃদ্ধ বয়সে ঘরে বসেই আয় হবে ৪২ হাজার টাকা! কৃষকদের জন্য দারুণ স্কিম সরকারের
প্রকল্পে মোট খরচ কত?
মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রকল্পে মোট ৪৮,৯৭২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আর ২০২৫ সালের ১০ জুন পর্যন্ত সেই অংক দাড়িয়েছে প্রায় ৬৩,৬১৫ কোটি টাকার বেশি। আর এই পরিসংখ্যান দেখাই বোঝা যাচ্ছে যে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প ঠিক কতটা বিস্তৃত এবং এর জন্য কত বড় বাজেট বরাদ্দ করতে হয় রাজ্য সরকারকে।
জানিয়ে রাখি, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে শুরু হয়েছিল দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। আর সেখান থেকেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য ব্যাপক আবেদন জমা পড়ে। সেই সময় থেকেই লক্ষ লক্ষ মহিলা এই প্রকল্পে নাম লিখিয়েছে। মন্ত্রী দাবি করেছেন, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে অধিকাংশ আবেদনকারী মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পাচ্ছে।