আগে ব্যাংকে টাকা রাখলেই এক প্রকার নিশ্চিন্তে থাকা যেত। কিন্তু সময় বদলেছে, প্রযুক্তি বদলেছে। এখন গ্রাহকরা যেকোন মুহূর্তে যেকোন জায়গা থেকে নিজেই নিজের টাকায় হাত দিতে পারে। আর এই প্রযুক্তির মধ্যেই তৈরি হয়েছে নতুন এক চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI New Rules)।
কী সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাংক?
জানা যাচ্ছে, ২০২৬ সালের ১লা এপ্রিল থেকে দেশের সমস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংককে আরও সচেতন হতে বলা হয়েছে রিজার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে। আর এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী ইন্টারনেট এবং মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা থাকা খুচরা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গ্রাহকদের আমানতের উপর ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত ২.৫% নগদ অর্থ আলাদা করে রাখতে হবে।
আর এটি এক প্রকার সতর্কতা ব্যবস্থা, যাতে কোনরকম আকস্মিক আর্থিক চাপ দেখা দিলে যেন সেই সময় ব্যাংকে পর্যাপ্ত নগদ টাকা মজুক থাকে।
কাদেরকে মানতে হবে এই নিয়ম?
এখনও পর্যন্ত যা শোনা যাচ্ছে, এই নির্দেশিকা সমস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংককেই মানতে হবে, সে সরকারি হোক, বেসরকারি হোক বা বিদেশি ব্যাংক, সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে পেমেন্ট ব্যাংক, আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাংক এবং গ্রামীণ ব্যাংকগুলোকে এই নিয়মের বাইরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কেন এরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে আরবিআই?
আসলে গত কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু দেশ আর্থিক চাপের সম্মুখীন হয়েছিল, যেখানে গ্রাহকরা ডিজিটাল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে হঠাৎ করেই বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিল। এর ফলে সেই দেশের ব্যাংকগুলি বিপদে পড়েছিল। সেই পরিস্থিতি যেন ভারতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্যই আরবিআই এর এই কঠোর পদক্ষেপ।
রান অফ ফ্যাক্টর কমানো হচ্ছে
আরবিআই এর নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, শিক্ষামূলক, দাতব্য এবং ধর্মীয় ট্রাস্ট, পাশাপাশি অংশীদারিত্ব সংস্থা এবং এলএলপি এর ক্ষেত্রে আগে যেখানে রান অফ ফ্যাক্টর ১০০ শতাংশ রাখা হতো, এখন তা কমিয়ে ৬০ শতাংশ করা হচ্ছে। রান অফ ফ্যাক্টর বলতে বোঝায়, কোন আর্থিক চাপে ব্যাংক কতটা আমানত একসঙ্গে হারাতে পারে তার পরিমাণ।
আরও পড়ুন: এই একটি শব্দই বলে দেবে আপনার হাতের ৫০০ টাকার নোটটি আসল নাকি জাল
কবে থেকে কার্যকর হচ্ছে এই নিয়ম?
যেমনটা জানা যাচ্ছে, আগামী ১লা এপ্রিল, ২০২৬ থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। তবে ব্যাংকগুলি যেন সময়মতো প্রস্তুতি নেয়, সেজন্য এখন থেকেই এই ঘোষণা করে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক।