মেয়ের বিয়ে নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না সাধারণ মানুষকে। চিন্তা করবে সরকার নিজেই। আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ অবস্থায় মেয়ের বিয়ে নিয়ে চিন্তায় দিনপাত করা পরিবারগুলিকে সাহায্য করার জন্য একটি নতুন উদ্যোগ ঘোষণা করেছে সরকার। এই প্রকল্পের আওতায়, পরিবারগুলি মেয়ের বিয়ের জন্য ১ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা পেতে পারে। তবে, এই সুবিধা পেতে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।
সরকারের এই বিশেষ প্রকল্পের নাম মুখ্যমন্ত্রী সামুহিক বিবাহ যোজনা। ‘মুখ্যমন্ত্রী সমুহিক ভিওয়া যোজনা’র আওতায় ১ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। এই কর্মসূচি বিয়ের সময় পরিবারগুলি যে আর্থিক চাপের সম্মুখীন হয় তা কমাতে সাহায্য করবে। অতিরিক্তভাবে, বিয়ের পরেও কন্যা সন্তানের সুস্থতা এবং ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য অন্যান্য সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প উপলব্ধ থাকবে।
যোগ্যতার মানদণ্ড
এই সুবিধার জন্য যোগ্যতা অর্জনের জন্য, কিছু বিশেষ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে:
- মেয়ের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
- পরিবারকে সর্বনিম্ন আয়ের গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।
মেয়েদের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা
বিবাহের জন্য আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি, সরকার মেয়েদের জন্য অন্যান্য সুবিধাও ঘোষণা করেছে। এরকম একটি উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে
মেধাবী মেয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুটি প্রদান। এটি তাদের অবাধে ভ্রমণ করতে এবং অসুবিধা ছাড়াই তাদের শিক্ষা চালিয়ে যেতে সাহায্য করবে, মেয়েদের ক্ষমতায়নকে আরও উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: একধাক্কায় ১৮ হাজার কোটি টাকা লোকসান! বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক
প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের প্রাথমিক লক্ষ্য হল দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের উপর তাদের কন্যার বিয়ের সময় আর্থিক চাপ কমানো। অনেক ক্ষেত্রে, পরিবারগুলি বিবাহের উচ্চ খরচ বহন করতে লড়াই করে, যার ফলে বাল্যবিবাহ এবং ঋণের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
এই আর্থিক সহায়তার লক্ষ্য হল অভাবী পরিবারগুলিকে সহায়তা করা এবং সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর মেয়েদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করা। দেখা যাক বাস্তবে এই উদ্যোগ কতটা সফল হয়। যদিও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিশ্বাস করেন যে এই আর্থিক সহায়তা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। বিশেষজ্ঞরাও একমত।