সম্প্রতি রাজ্য সরকার আওসোর্সিং কর্মচারীদের জন্য একটি নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে কেবলমাত্র কর্মচারীরাই নন, বরং তাদের পরিবারের সদস্যরাও সুবিধা পাবে। বিশেষ করে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের মেয়েদের উচ্চশিক্ষার জন্য ১ লক্ষ টাকার অনুদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সরকারের মূল লক্ষ্য
সরকার এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যাতে উচ্চশিক্ষায় মেয়েদের আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। পাশাপাশি মেডিকেল এবং প্রশাসনিক পরীক্ষায় সফলদের উৎসাহ দেওয়া হবে। শুধু এখানেই শেষ নয়। আউটসোর্সিং কর্মচারীদের পরিবারের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
কাদের জন্য এই সুবিধা?
উত্তরপ্রদেশ সরকার নতুন আউটসোর্সিং সার্ভিস কর্পোরেশন গঠনের পরিকল্পনা করেছে, যার মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত আউটসোর্সিং কর্মচারীরা এই সুবিধা পাবে। রাজ্য সরকারের এই পরিকল্পনার আওতায়-
- যদি আউটসোর্সিং কর্মচারীর কন্যা ইউপিএসসি মেইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় বা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পায়, তাহলে ১ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে।
- যারা মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, এমটেক বা বিএসসি-র মতো উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পাবে, তাদেরকে সরকার আর্থিক সহায়তা করবে।
- বিদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ পেলে সেই সমস্ত সন্তানদেরও বিশেষ অনুমোদন দেওয়া হবে।
- এমবিবিএস, বিএসসি নার্সিং কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সরকারের নতুন সংরক্ষণ ব্যবস্থা
এতদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র OBC, SC, ST এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা সরকারের সুবিধা পেতেন। তবে এবার আউটসোর্সিং কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হতে পারে। সরকার এই নিয়ে দুটি সম্ভাবনা বিবেচনা করেছে। যেমন বিদ্যমান সংরক্ষণের মধ্যে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে, অথবা আউটসোর্সিং কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য আলাদা সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: শুরু হল নবান্ন স্কলারশিপে আবেদন প্রক্রিয়া, এই ডকুমেন্টগুলি সঙ্গে রাখুন
এই সিদ্ধান্ত কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের হাজার হাজার আউটসোর্সিং কর্মচারীদের সন্তানের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। এছাড়া মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করবে রাজ্য সরকার। বিশেষ করে ইউপিএসসি, মেডিকেল এবং উচ্চতর গবেষণায় আগ্রহীদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হতে চলেছে।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরো বড় সুযোগ আসতে পারে। এখন দেখার বিষয়, কবে থেকে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে এবং কবে থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়।