১০০০-এর বদলে ৭০০ টাকা! লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বাকি টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে, আপনিও চেক করুন

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের লক্ষ্য হল মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা যাতে ছোটখাটো খরচের জন্য স্বামী বা সন্তানদের উপর নির্ভর করতে না হয়। এই প্রকল্পটি যোগ্য মহিলাদের প্রতি মাসে ১০০০ টাকা প্রদান করে। তবে, ক্যানিং মহকুমার ঘুটিয়ারিশ্রিফের একজন রাঁধুনি আকলিমা গাজী নামে একজন মহিলা ১০০০ টাকার বদলে ৭০০ টাকা করে পাচ্ছেন। এবার তবে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পেও জালিয়াতি শুরু?

রাস্তার ধারের একটি হোটেলে রাঁধুনি হিসেবে কাজ করা আকলিমার আয় সামান্য, যা তাঁর পরিবারের ভরণপোষণের জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি আয়ের একটি প্রধান উৎস হিসেবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের উপর নির্ভর করেন।

কিন্তু, প্রতিবার যখন তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অ্যাকাউন্ট থেকে ১০০০ টাকা তোলার চেষ্টা করেন, তখন স্থানীয় দোকানদার সেই টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেটে নেন বলে অভিযোগ। আকলিমার কাছে পুরো ১০০০ টাকার পরিবর্তে মাত্র ৭০০ টাকা আসে।

অভিযোগ ও তদন্ত

সোমবার আকলিমা মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে দোকানদার প্রতি মাসে ৩০০ টাকা কেটে নিচ্ছেন, এবং এই মাসে, যখন তিনি টাকা তোলার চেষ্টা করেছিলেন, তখন পুরো টাকাই শেষ হয়ে গেছে।

দোকানদার দাবি করেছেন যে তাঁর অ্যাকাউন্টে মাত্র ১৪ টাকা অবশিষ্ট ছিল। আকলিমা অন্য একটি উৎস থেকে খোঁজ নিয়ে দেখেন যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে পুরো ১০০০ টাকাই তোলা হয়েছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দোকানদারের প্রতিক্রিয়া

দোকানদারের মুখোমুখি হওয়ার পর, আকলিমাকে একটি ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট দেখানো হয়। দোকানদার তখন স্বীকার করেন যে তিনি তাঁর কাছ থেকে ৩০০ টাকা কেটে নিয়েছেন এবং পুরো ১০০০ টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বিষয়টি কাউকে না জানাতেও অনুরোধ করেছেন।

পঞ্চায়েতের পদক্ষেপ

মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান প্রদীপ দাস আকলিমার অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে দোকানদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে। অভিযোগ সত্য হলে, দোকানদারকে জালিয়াতির জন্য শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

আরও পড়ুন: শুধু এই ৫টি উপায় মেনে চলুন, আপনার সন্তান ফোন থেকে দূরে থাকবে

বলা বাহুল্য, আকলিমা গাজীর ঘটনাটি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে জালিয়াতির বিষয়টি তুলে ধরে, যেখানে মানুষ তাঁদের ন্যায্য অর্থ থেকে প্রতারণার শিকার হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ এখন অভিযোগটি তদন্ত করছে, এবং দোকানদার যদি অর্থ আত্মসাতের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয় তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকার এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই ধরনের ঘটনাগুলি সমাধান করার জন্য এবং আকলিমার মতো মহিলারা যাতে এই প্রকল্প থেকে তাঁদের সম্পূর্ণ সুবিধা পান তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।

Leave a Comment