বাজেট পেশের পরে, জ্বালানির দাম আবারও বাড়তে চলেছে, এবং এবার শুধু পেট্রোল ও ডিজেলের জন্যই নয়, হালকা ডিজেল ও কেরোসিন তেলের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা হতে পারে। এর ফলে সকলের জন্য খরচ বাড়তে পারে এবং বিশেষ করে সীমিত আয়ের পরিবারগুলির জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
কত টাকা করে বাড়তে পারে জ্বালানির দাম?
১ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন জ্বালানির দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, পেট্রোল ও ডিজেলের দাম নিম্নলিখিত পরিমাণে বাড়বে:
- পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ১.২৪ টাকা বেশি হতে পারে।
- ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৪.৪৯ টাকা বেশি হতে পারে।
- এছাড়াও, হালকা বা লাইট ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৫.৯৩ টাকা বাড়তে চলেছে।
- অনেক দরিদ্র পরিবারের ব্যবহৃত কেরোসিন তেলও এক লাফে প্রতি লিটারে ৫ টাকা বাড়তে চলেছে।
এর প্রভাব জনগণের উপর কীভাবে পড়বে?
জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পেট্রোল, ডিজেল বা কেরোসিন ব্যবহারকারী সকলের উপর পড়বে। এই মূল্যবৃদ্ধি পরিবারের উপর, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্রদের উপর, যারা ইতিমধ্যেই দৈনন্দিন খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন, তাঁদের উপর একটি বড় বোঝা হতে পারে।
- পেট্রোল এবং ডিজেল: পরিবহনের জন্য এই জ্বালানির উপর নির্ভরশীলদের জন্য অতিরিক্ত খরচ বাড়াতে পারে।
- হালকা ডিজেল: এই মূল্যবৃদ্ধি হালকা ডিজেল ব্যবহারকারী শিল্প এবং ব্যবসাগুলিকে প্রভাবিত করবে, যার ফলে পণ্য এবং পরিষেবা আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে।
- কেরোসিন তেল: অনেক নিম্ন আয়ের পরিবার রান্না এবং আলো জ্বালানোর জন্য কেরোসিনের উপর নির্ভরশীল। কেরোসিনের দাম বৃদ্ধি তাঁদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করবে।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি মাসে স্কুল, কলেজ, অফিসে একগুচ্ছ ছুটি ঘোষণা হল! দেখে নিন ছুটির তালিকা
কেন এটি ঘটছে?
জ্বালানির দাম বৃদ্ধি অতীতে অনেক আলোচনার বিষয় ছিল। এক পর্যায়ে, কিছু জায়গায় পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ১০০ টাকারও বেশি পৌঁছেছিল। তখন সরকার সমালোচনার সম্মুখীন হয়, কিন্তু দাম সামান্য কমানোর পর পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়।
তবে, তেলের দাম আবার বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে, বিক্ষোভ বা জনসাধারণের অভিযোগ আসতে পারে, বিশেষ করে সেই পরিবারগুলির কাছ থেকে যারা এই বৃদ্ধির খরচ বহন করতে পারে না, তখন আবার জ্বালানির দাম কমানো হয় কিনা সেটাই দেখার।