বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার নিয়ে নতুন তথ্য সামনে আনল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক। সম্প্রতি জানা গেছে দেশের এই ভান্ডার ক্রমশ কমে আসছে। গত ৩ই জানুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে এই ভান্ডার ৫.৬৯ বিলিয়ন ডলার কমে গিয়ে ৬৩৫.৫৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে গেছে। এর আগের সপ্তাহে ৪.১২ বিলিয়ন ডলার কমে এর পরিমান দাড়িয়েছিল ৬৪০.২৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
কেন এমন হচ্ছে?
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারের এই পতন দেখা যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার দুর্বলতাকে দেখছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক। রিজার্ভ ব্যাংক এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বৈদেশিক মুদ্রা ভান্ডারে হস্তক্ষেপ করছে এবং পুনর্মূল্যায়ন করছে। উল্লেখ্য বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারকে ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ বলা হয়, যা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার গুরুত্বপূর্ণ একটি সূচক।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- সর্বোচ্চ স্তর- ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার ছিল ৭০৪.৮৮৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল, যা সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল।
- বর্তমান অবস্থা- বৈদেশিক মুদ্রার সম্পদ ৬.৪৪ বিলিয়ন ডলার কমে গিয়ে এখন ৫৪৫.৪৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
- গোল্ড রিজার্ভ- দেশের সোনার ভান্ডার কিছুটা বেড়ে গেছে। ৮২৪ মিলিয়ন ডলার বেড়ে পরিমাণ এখন ৬৭.৯২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
- SDR- স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস (SDR) কমে গিয়ে ১৭.৮১৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
কেন বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার গুরুত্বপূর্ণ?
বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার একটি দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের মাপকাঠি। এটি যদি কমে যেতে শুরু করে তাহলে আমদানি, রপ্তানি এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের সমস্যা হতে পারে। এছাড়া ডলারের সিংহভাগ জায়গা থাকার কারণে বেশিরভাগটাই বাণিজ্যের উপর সরাসরি প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন: রিলায়েন্স জিও আনল ২০২৫-এর সেরা প্ল্যান, একবার রিচার্জ করলেই প্রচুর সুবিধা
দেশের অর্থনীতির উপর প্রভাব
বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার কমে গেলে দেশের মুদ্রা দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। তবে রিজার্ভ ব্যাংক পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজ করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এটি সাময়িক এবং শীঘ্রই বৈদেশিক মুদ্রা ভান্ডারের স্থিতিশীলতা ফিরবে।