দেশের মেয়েদের আর্থিক সুরক্ষা আরও উন্নত করতে রাজ্য সরকার নিয়ে এসেছে একটি বিশেষ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলারা অল্প বিনিয়োগে ভবিষ্যতে বিশাল পরিমাণে অর্থ সঞ্চয় করতে পারবে। বিশেষত পড়াশোনা ও আর্থিক স্বাধীনতায় মহিলাদের আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই প্রকল্প চালু করছে রাজ্য সরকার।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য
এই প্রকল্পটি মহিলাদের আর্থিকভাবে আরও স্বাবলম্বী করে তুলবে এবং তাদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার উদ্দেশ্য শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যগুলি হল-
- মেয়েদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা,
- উচ্চশিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা,
- মেয়েদের আর্থিক সঞ্চয় বাড়ানো।
কীভাবে কাজ করবে এই প্রকল্প?
- অ্যাকাউন্ট- রাজ্য সরকারের চালু করা এই প্রকল্পের আওতায় মেয়েদের জন্য একটি সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
- অ্যাকাউন্ট খোলার সময়সীমা- ৫ বছর থেকে ১০ বছর বয়সের মেয়েরা এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য হবে। এর বাইরে কেউ এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে না।
- বিনিয়োগের পরিমাণ- এখানে ন্যূনতম ২৫০ টাকা এবং সর্বাধিক ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক বিনিয়োগ করা যাবে।
- মেয়াদ- এই প্রকল্পের মেয়াদ হবে ২১ বছর।
- মেয়াদ শেষে লাভ- যদি বার্ষিক ১.২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা হয়, তবে ২১ বছর পরে ৫৫.৬১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভ পাওয়া যাবে।
কীভাবে লাভবান হবেন?
এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিবছর সঞ্চয়ের উপর সুদ দেওয়া হবে।
- ৫ বছরে যদি ১৭.৯৩ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা হয় তবে ৩৭.৬৮ লক্ষ টাকা সুদ হিসেবে পাওয়া যাবে।
- মাসে মাত্র ১০ হাজার টাকা জমিয়েও ভবিষ্যতে বিশাল মুনাফা পাওয়া সম্ভব এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
কারা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে?
এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারী মেয়েদের বয়স হতে হবে ৫ বছর থেকে ১০ বছরের মধ্যে। এর পাশাপাশি অভিভাবক বা মেয়ের নামে সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তাহলে এই প্রকল্পে আবেদন করা যাবে।
আরও পড়ুন: নতুন বছরেই মমতার বড় ঘোষণা, লক্ষ্মীর ভান্ডারে ভাতা বেড়ে 2100 টাকা হচ্ছে
গুরুত্বপূর্ণ দিক
- এই প্রকল্পটি ২০১৫ সালে শুরু হওয়া রাজ্য সরকারের “বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও” উদ্যোগের একটি বড় অংশ।
- ন্যূনতম বিনিয়োগের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক সুবিধা পাওয়া সম্ভব এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
- অভিভাবকদের আর্থিক দায়িত্ব কমানোর লক্ষ্যে এই প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার।
মেয়েদের জন্য এই প্রকল্প শুধুমাত্র ভবিষ্যৎ সুরক্ষার একটি মাধ্যম নয়, এটি তাদের স্বাবলম্বী এবং শিক্ষিত হওয়ার জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। তাই দ্রুত এই প্রকল্পে যোগদান করুন এবং মেয়েদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন।