লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে নাম বাদ দেওয়ার ফর্ম, ফেসবুকে পোস্ট করেছে তৃণমূল সমর্থক

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

সময়ে সময়ে, রাজ্য সরকারগুলি মহিলাদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রকল্প পরিচালনা করে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মহিলাদের জন্য এমন একটি প্রকল্প শুরু করেছে। আর সেটাই হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। যা এতদিন ধরে মেয়েদের নয়নমণি হয়েছিল। কিন্তু এখন আর তা নেই।

আর জি কর ঘটনার পর থেকেই অনেকেই বিরোধিতা করছেন। মেয়েদের সুরক্ষা যেখানে নেই। সেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কী হবে, তা নিয়ে ব্যাপক কথা উঠছে। ফুঁসছে সারা বাংলা।

এমন পরিস্থিতিতে কেউ চাইলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে নিজেদের নাম তুলে নিতে পারেন বলে দাবি জানাচ্ছেন একদল মানুষ। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সে দাবি দাওয়ার ছবি। নাম দেওয়ার পরিবর্তে, নাম তুলে নেওয়ার কথা উঠছে।

১০০০ থেকে ১২০০ টাকা মিলছে প্রতি মাসে

এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে, রাজ্য সরকার রাজ্যের সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের প্রতি মাসে 1000 টাকা দেয়, যা আগে প্রতি মাসে 500 টাকা ছিল, এবং তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতির মহিলাদের প্রতি মাসে 1200 টাকা দেওয়া হয়, যা ছিল আগে 1000 টাকা ছিল। আবার শীঘ্রই নাকি আরও টাকা বাড়ানো হবে। তাহলে কি রাজ্যের মেয়েরা মাসিকবেই ভাতা এত সহজে ছেড়ে দেবে!

রাজ্যের প্রায় ২ কোটি মহিলা উপকৃত হচ্ছেন

রাজ্যের প্রায় 2 কোটি মহিলা এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হন। বলা হয় যে এই স্কিমটি একটি পরিবারের মাসিক গড় খরচের কথা মাথায় রেখেই নাকি চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে, উপকারভোগীর পরিবারের মাসিক খরচের 10 শতাংশ থেকে 20 শতাংশ কভার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে প্রাপ্ত অর্থ সরাসরি সুবিধাভোগীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে সত্যিই কি মহিলারা নাম কাটাতে প্রস্তুত?

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আরো পড়ুনঃ ১৪ সেপ্টেম্বর লাস্ট ডেট! নিজে না পারলে আধার কার্ড নিয়ে দোকানে যান

লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে কীভাবে নাম কেটে যাবে?

রাজ্যের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে একজন ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন যাঁরা লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা নিতে চান না। সুবিধা নিতে লজ্জা পেয়ে থাকেন, তাঁরা নাম কেটে ফেলুন।

বিঃ দ্রঃ এই ফর্মের সত্যতা যাচাই করে দেখেনি কাজের সুবিধা।

Leave a Comment