কোনো সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) কোথা থেকে এসেছেন, তাঁর পুরো পরিচয় কী, এমনই নানান তথ্য জানতে চায় কলকাতা পুলিশ। আর জি কর মেডিকেল কলেজে, ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত এক সিভিক ভলান্টিয়ার, তিনি আবার খোদ কলকাতা পুলিশের অধীনে কর্মরত ছিলেন।
স্বাভাবিকভাবেই এমন দায়িত্বশীল কাজে থেকে এমন ঘটনা নিয়ে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে পুলিশ। সবটা খতিয়ে দেখতে তাই পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
কলকাতা পুলিশের অধীনে কর্মরত সমস্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদের তলব করেছে লালবাজার। জোড়া তলবই বলা যেতে পারে। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, পুরুষ হোক কিংবা মহিলা, সিভিক ভলান্টিয়ারদের সম্পর্কে মূলত দু’টি তথ্য জেনে রাখা জরুরি। হোমগার্ড সম্পর্কেও খোঁজ খবর রাখতে হবে। সেগুলো হল নিম্নলিখিত-
1) অতীতে কোনও অপরাধের নজির আছে কিনা?
2) তাঁদের চারিত্রিক কোনও দোষ আছে কিনা?
আর কী কী তথ্য কীভাবে জমা দিতে হবে?
1) সিভিক ভলান্টিয়ারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা থেকে শুরু করে তাদের কাজের মূল্যায়নও করতে হবে রিপোর্টে।
2) প্রত্যেক সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম ঠিকানা-সহ যাবতীয় পরিচয়পত্রের জেরক্স যাচাই করতে হবে।
3) সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে তাঁর পারফরম্যান্স বা কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আছে কি না, তা জানা দরকার।
4) সিভিক ভলান্টিয়ার কোনও নেশা করেন কি না, জানাতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ২, ১ হাজার না! এবার ৬৯ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল? তাহলে স্কুলে পড়াবে কে?
সিভিক ভলেন্টিয়াররা নেশা করলেই বিপদ!
প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে নেশা করার অভিযোগ উঠেছে। তাই কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন উঠে বসেছে। নবান্নের নির্দেশে তাই এবার তৎপর লালবাজার। তবে এ তদন্ত নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি কলকাতা পুলিশ।