কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এইবার কর দাতাদের জন্য একটি সুখবর দিলেন। তিনি এইবার নয়া আয়কর কাঠামোর আওতায় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সীমা বাড়ানোর ঘোষণা করেন। আগে এই টাকার সীমা ৫০,০০০ টাকা ছিলো আর এখন সেটা হয়েছে ৭৫,০০০ টাকা। সেই সাথে পেনশন ভোগীদের ক্ষেত্রে ফ্যামিলি পেনশনে ১৫,০০০ টাকা থেকে ২৫,০০০ টাকা ছাড় করে দেওয়া হলো।
২০১৮ সালের বাজেটে প্রথম স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন চালু হয়,তখন স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের ফলে বেতনভোগীরা বছরে ৪০,০০০ টাকা কর ছাড় পেতেন, এরপর ২০১৯ সালের বাজেটে সেই কর ছাড়ের পরিমাণ আরও দশ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৫০,০০০ টাকা করে দেওয়া হয়।
তারপর দীর্ঘ পাঁচ বছর কর ছাড়ের পরিমাণ সেটাই রয়ে গিয়ে ছিলো। ২০২৪-২৫ সালের অর্থবর্ষে পূর্ণাঙ্গ বাজেটে সেই ৫০,০০০ টাকাটা বাড়িয়ে ৭৫,০০০ টাকা করা হয়। ট্যাক্স টু উইনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অভিষেক সোনি স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন প্রসঙ্গে বলেন যে,স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়ালে যে করদাতারা কম বা মাঝারি আয়করের আওতায় আছেন, তাদের করযোগ্য আয় কমে যায়। স্বভাবতই আয়কর কম দিতে হয় তাদের।
সেইসঙ্গে তিনি এই ডিরেকশনের লাভের কথা বলে আরও বলেন যে, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন যত বেশি হয়, তত মানুষের খরচের প্রবণতা বাড়ে ফলে অর্থনীতিও আরও উন্নত হয়।
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বলতে কী বোঝায় এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন এলে বলতে হবে যে, স্যালারির আওতায় থাকা কোনও করদাতা কোনও অর্থবর্ষে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ( অর্থাৎ যেবছর যে সীমা নির্ধারণ করা হয় সেই অনুযায়ী অর্থের পরিমাণ বাড়ানো বা কমানো হয়) করছাড়ের ক্লেম করতে পারেন আর একেই বলে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন।
যে বেতন (তা সে বকেয়া হোক বা অগ্রিম বা নির্দিষ্ট সময়ের বেতন) পাওয়া যায়, সেটার উপরে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন দাবি করতে পারেন একজন বেতন ভোগী কর্মচারী। এই বিষয়ে ট্যাক্সের কর বিশেষজ্ঞ মেঘা জৈন বলেন যে, ২০২৩ সালের বাজেটে নয়া কর কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন আনা হয় অর্থাৎ যারা নয়া আয়কর কাঠামোর আওতায় ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করবেন, তারাও ‘বেতন’-র (স্যালারি) আওতায় ৫০,০০০ টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুবিধা পাবেন।
আরো পড়ুন: প্রথমবার চাকরিতে ১ মাসের মজুরি, বাজেটে এই বিরাট ঘোষনা হল
উল্লেখ্য, এবার লোকসভা নির্বাচনের পর এই যে বাজেট পেশ হল এটি সপ্তম বারের বাজেট। পূর্ববর্তী বাজেটের সাথে এই বাজেটের পার্থক্য এখানেই যে আগের বার গুলো অর্থাৎ আগে যে ৬ বার বাজেট পেশ হয়েছিল সেই সময় বিজেপি সরকারের লোকসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিলো। কিন্তু এইবার সেটা নেই সেই কারণে, সপ্তমবারের পেশ করা এই বাজেট নিয়ে যে নানান রকম মতানৈক্য ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ আসবে সে কথা বলাই বাহুল্য,তাই সেই সব দিক মাথায় রেখে এই বাজেট পেশ করা হলো।