পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার রাজ্যবাসীদের কল্যাণে নানান রকম জনহিতকর প্রকল্প চালু করেছেন। এই সকল জনহিতকর প্রকল্পগুলির মধ্যে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ও লক্ষীর ভান্ডারের কথা বলা যায়।
তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্রকল্প হলো রাজ্যবাসীদের স্বস্তি দেওয়ার জন্য রাজ্যের বাসিন্দা দের বিদ্যুৎ বিলের উপর প্রায় ৩০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া।
প্রায় ৪ বছরের বেশি সময় ধরে এই প্রকল্প প্রচলিত আছে আর এই প্রকল্পের কারণে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ বাসিন্দারা উপকৃত হচ্ছেন। এই প্রকল্পের ফলে তিন মাসে প্রায় ৩০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় পান উপভোক্তারা।
বিদ্যুৎ বিলে রাজ্যবাসীদের ছাড় দেওয়ার এই প্রকল্পটির নাম হলো হাসির আলো (Hasir Alo), ২০২০ সালে এই প্রকল্প শুরু করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের যে সব বাসিন্দারা থাকেন তারা
তিন মাসে ৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে পান, উল্লেখ্য যে, এই ৭৫ ইউনিট বিদ্যুতের খরচ প্রায় ৩০০ টাকা। এখন প্রশ্ন উঠেছে যে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের এমন একটি প্রকল্পের সুযোগ কারা কারা পাবেন?
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি যে, এই প্রকল্পের সুযোগ সেই সকল পরিবারের সদস্যরা পাবেন যাদের ০.৩ কিলোওয়াটের ক্ষমতা সম্পন্ন গৃহস্থলীদের জন্য ব্যবহৃত বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। এই ধরনের গ্রাহকদের প্রতি মাসে ২৫ ইউনিট অর্থাৎ তিন মাসে ৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়, তাই এই সকল গ্রাহকরা এই প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারবেন।
এই প্রকল্পের আওতায় এলে পরিবারের সদস্যদের বিদ্যুতের জন্য সেভাবে টাকা খরচ করতে হবে না কিন্তু একটা কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে সেটা হল তিন মাসের বিদ্যুতের ইউনিট যেন কোনভাবেই ৭৫ ইউনিটের বেশী না হয়। এখন কারা কারা এই প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ পাবেন সেটা জেনে নেওয়া যাক-
যারা অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা অর্থাৎ বিপিএল তালিকাভুক্ত তারা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া সকল পরিবারের সদস্যদের বিদ্যুৎ বিলের বোঝা থেকে রক্ষা করবার জন্য এই প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। এখন এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে কীভাবে আবেদন করতে হবে?
আরো পড়ুন: বছরে আর ৬০০০ টাকা না! এই প্রকল্পে ৮০০০ টাকা দেবে কেন্দ্র সরকার?
এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট নিয়ে নিকটবর্তী বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়া আপনি দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়েও নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই এতে রাজ্যের অসংখ্য মানুষ উপকৃত হবেন।