সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার সরকারি কর্মীদের জন্য একটি বিশাল বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, মূলত এই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, কাজ পছন্দ না হলেই চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হতে পারে, স্বাভাবিক ভাবেই এরকম একটি বিজ্ঞপ্তির ফলে সরকারি কর্মীদের ঘুম উড়ে গিয়েছে।
এই নির্দেশিকা সরকারি ব্যাঙ্ক ও কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরগুলির উদ্দেশ্যে জারি করা হয়েছে। গত ২৭শে জুন কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, সব কেন্দ্রীয় সরকারের বিভাগগুলি যেন তাদের কর্মীদের কাজ রিভিউ করে দেখে আর সেই রিভিউ দেখার পর যদি দেখা যায় যে, কাজে কর্মীদের গাফিলতি রয়েছে, বা কর্মীরা কাজে ঠিকমতো মনোযোগ দিচ্ছে না, তাহলে আগাম অবসরে পাঠানো হবে তাদের। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার সকল বিভাগে জরুরী বিজ্ঞপ্তি জারি করার পাশাপাশি সরকারের তরফে সকল মন্ত্রক, বিভাগ ও দফতরেও এই বিষয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে।
কাজে অবহেলার পাশাপাশি যে সকল কেন্দ্রীয় কর্মীরা ঠিক সময় মতো অফিসে পৌঁছায় না তাদের জন্যও কেন্দ্র সরকার নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, যে সকল কর্মীরা ঠিক সময় মত অফিসে পৌছাচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে সব কর্মীরা প্রায়ই দেরি করে অফিসে পৌঁছান , অথবা অফিস ছুটির আগেই বাড়িতে পৌঁছে যান তাদের জন্য কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নির্দেশিকাতে আরো বলা হয়েছে যে, সরকারি কর্মীদের অফিসে প্রবেশ করার ডেড টাইম সকাল ০৯:১৫ মিনিট, এর থেকে ঠিক এক মিনিট অর্থাৎ ৯টা ১৬ মিনিটে অফিসে প্রবেশ করলেও কর্মীদের ক্যাজুয়াল লিভ কাটা যাবে অর্থাৎ সেই দিনের অর্ধেক দিন কর্মীর অনুপস্থিতি ধার্য করা হবে। তবে মাসে দুটি দিন এই বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে, যদি দুদিনের বেশি এই বিষয়টা হয় তাহলে সি এল কাটা যাবে অর্থাৎ একটি সম্পূর্ণ দিন ছুটি ঘোষণা হবে। তবে যদি কেউ দেরি করে অফিসে আসার বৈধ কারণ দেখাতে পারে সেক্ষেত্রে এক ঘন্টা দেরি হলেও ছাড় দেওয়া যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ মাসে ১৫০০ টাকা তো পাবেই, তারসাথে ৩ টি গ্যাস সিলিন্ডার ফ্রি পাবে এই রাজ্যের মহিলারা
বহু সরকারি কর্মীরা আধার সংযুক্ত বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম করছেন না বলেও শোনা যাচ্ছে যার জন্য কর্মীদের উপস্থিতির বিষয়টি ঠিকঠাক ভাবে ধরা যাচ্ছে না,তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের উপস্থিতির বিষয়টি নজরে রাখতে সেইসব সরকারি কর্মীদের মোবাইল নির্ভর ফেশ অথেন্টিক সিস্টেম ব্যবহার করার কথা বলা হচ্ছে, যার ফলে জিও ট্যাগিং থাকবে ও কর্মীর অবস্থান কোথায় আছে সেটা ও জানা যাবে।
তবে কর্মীদের কাজের গাফিলতির বিষয়ে নজর রাখার বিষয়টা কিন্তু এই প্রথম নয় এর আগে ২০২০ সালে এই রিভিউ সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং, সেই গাইডলাইনেও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্যেক মন্ত্রক, বিভাগ ও দফতরগুলিকে কর্মীদের কাজের তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হলেও তারা নির্দেশিকা মানেন নি,এই বিষয়টিকে পুরো এড়িয়ে চলার জন্য কর্মীরা কাজে গাফিলতি করতে শুরু করে। যাতে কেন্দ্র সরকার বেশ অসন্তুষ্ট হয়ে যায়,তাই তারা নতুন নির্দেশিকা চালু করেছে, এই নির্দেশিকা না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।