একদিকে টমেটো লাল হয়ে গিয়েছে, অন্যদিকে পেঁয়াজও কাঁদতে শুরু করেছে। প্রচণ্ড গরমে বেড়েছে সবজির দাম। বলা হচ্ছে, বৃষ্টি না হলে দাম কমার সম্ভাবনা কম। শুধু টমেটো ও পেঁয়াজ নয়, করলাও রান্নাঘরের স্বাদ নষ্ট করেছে। কাঁচা লঙ্কাও এখন মশলাদার মনোভাব দেখাচ্ছে। বেগুন, লেডিফিঙ্গার ও চিংড়ির দাম তো 20-25 শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে।
কোন কারণে এত দাম বেড়েছে সবজির?
প্রচণ্ড গরম ও বৃষ্টির অভাবে মাঠ ফেটে গিয়েছে। এ কারণে সবজির দাম 20 থেকে 25 শতাংশ বেড়েছে। বর্ষা শুরু হলে দাম কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কত দামে বিকোচ্ছে কোন সবজি?
দাম বেড়ে যাওয়ায় শসা ও ক্যাপসিকাম বিলাসবহুল সবজি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে 100 থেকে 120 টাকা এবং ক্যাপসিকাম প্রতি কেজি 200 টাকায় পৌঁছেছে।
এমন পরিস্থিতিতে মানুষ সালাদ খেতেও ভুলে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ কৃষক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি কমল দে এ প্রসঙ্গে সানমার্গকে বলেছেন, পেঁয়াজ নাসিক থেকে আসে আর টমেটো বেঙ্গালুরু থেকে সরবরাহ করা হয়। আগে দুটিই আসত প্রতি কেজি 10 টাকা, যার কারণে প্রতি কেজি 20 থেকে 25 টাকায় বিক্রি হলেও এখন টমেটো ও পেঁয়াজ 20 থেকে 25 টাকা কেজি দরে বিক্রি।
পরিবহন খরচও বেড়েছে যার কারণে সবজিগুলোর দাম এখন প্রতি কেজি 40 থেকে 45 টাকায় উঠেছে। করলা এবং ঢেঁড়সের দাম বেড়েছে যথাক্রমে 128 শতাংশ ও 140 শতাংশ।
এক নজরে সবজির দাম
- আলু – প্রতি কেজি 35 টাকা
- পেঁয়াজ – প্রতি কেজি 45 টাকা
- ধনে – প্রতি কেজি 200 টাকা
- টমেটো – প্রতি কেজি 80 টাকা
- রসুন – প্রতি কেজি 180 টাকা
- ক্যাপসিকাম – প্রতি কেজি 120 টাকা
- ঢেঁড়স – প্রতি কেজি 60 টাকা
- করলা – প্রতি কেজি 80 টাকা
- আদা – প্রতি কেজি 240 টাকা
- ফুলকপি- 50 টাকা পিস
- মরিচ – প্রতি কেজি 80 টাকা
- শসা – প্রতি কেজি 60 টাকা
- বেগুন – প্রতি কেজি 40 টাকা
তবে, রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের এক সদস্য জানিয়েছেন, গরমের কারণে দাম বেড়েছে। এ বিষয়ে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্ষা এলেই দাম কমতে পারে। সাধারণ গ্রাহকদের কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না।
তবে, এখন সুফল বাংলার স্টলের সবজিও কমে দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এটি একটি সরকারি প্রকল্প হওয়া সত্ত্বেও, সবজির দামের চোটে স্টল এবং কাউন্টারে ন্যায্য মূল্যে সবজি বিক্রি করা হয়ে উঠেছে কঠিন।