সরকারি কর্মীদের আনন্দ শেষ! ১৬ মিনিট দেরি হলেই বিপদ

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

সরকারি অফিসে দেরি হওয়া সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এখন এর বিরুদ্ধেই উঠে পড়ে লেগেছে। দেরিতে আসা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে এবং কর্মচারীদের সময়মতো অফিসে পৌঁছোনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যদি একজন কর্মচারী 16 মিনিট দেরি করেন, তাহলেই বেতন থেকে কাটা যাবে মোটা টাকা। ইতিমধ্যেই, সরকারি কর্মচারীদের জন্য কড়া সতর্কতা জারি করেছে ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং (DoPT)।

সরকারি কর্মীদের জন্য বেঁধে দেওয়া নির্দেশিকা

COVID-19 সময়কাল থেকে, অনেক সরকারি অফিস বায়োমেট্রিক উপস্থিতি সিস্টেম ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এখন উপস্থিতির জন্য বায়োমেট্রিক্সের ব্যবহার পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। এরই সঙ্গে, নিম্নলিখিত আদেশগুলো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সকল কর্মচারীর জন্য প্রযোজ্য।

1) অফিসের সময় সকাল 9 টা থেকে বিকাল 5:30 টা পর্যন্ত। তাই কর্মীদের সকাল 9:15 এর মধ্যে পৌঁছোতে হবে।

2) সকাল 9:15-এর পর কেউ দেরি করে অফিসে এলে, তাঁর হাফ ডে করে নেওয়া হবে।

3) যদি কোনো কর্মচারী নির্দিষ্ট দিনে অফিসে সময়মতো পৌঁছাতে না পারেন, তাহলে তাঁকে অবশ্যই তাঁর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। বৈধ কারণ দেখালে এক ঘণ্টা পর্যন্ত লেট হলেও, ছুট দেওয়া হতে পারে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

4) DoPT আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে যে কর্মীরা যাতে সময়ে অফিসে আসেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।

5) মাসে দু’বার দেরি করে আসার পরে ফের যদি দেরি হয়, তাহলেই তখন থেকে সিএল কাটা শুরু হবে।

আরো পড়ুন: যন্ত্রপাতি কিনতে টাকা দিচ্ছে সরকার, এইভাবে আবেদন করতে হবে

আসলে, কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসে দেরি হওয়া এখন এতটাই সাধারণ বিষয়, বিশেষ করে জুনিয়র কর্মচারী, যাঁরা প্রায়ই দেরিতে আসেন এবং তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে যান। তাঁদের জন্য এই নিয়ম
এই সমস্যা সমাধানেই পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অফিসের নির্দিষ্ট সময় না থাকার অভিযোগ করেছেন।

এই প্রথম নয়, এর আগেও 2014 সালে, বিজেপি সরকারি অফিসের জন্য নির্দিষ্ট অফিসের সময় চালু করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু কর্মচারীদের প্রতিবাদের কারণে পরিকল্পনাটি স্থগিত করা হয়েছিল।

Leave a Comment