বেশি টাকা নেওয়ার এ যেন নতুন কায়দা! এতদিন পর্যন্ত যত ইউনিটের জন্য যা দাম দিতেন, এবার তার থেকেও কম ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে একই দাম দিতে হবে। কিংবা তার বেশিও দিতে হতে পারে। চুপিসারে এইভাবেই প্রায় 3 গুণ দাম বাড়ানো হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, CESC আর WBSEDCL ভোটের মরসুমে সেভাবে কিছু না জানিয়েই এতটা উপর চালাকি করছে। ইউনিটের দাম না বাড়িয়ে, স্ল্যাব কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে লাফিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের দাম।
কোন কায়দায় বেশি বিদ্যুৎ বিল নেওয়া হচ্ছে?
সম্প্রতি একটি বিদ্যুৎ বিল ভাইরাল হয়েছে। ওই বিদ্যুৎ বিলেই দেখা যাচ্ছে, এনার্জি ডিটেলস-এ ওল্ড ট্যারিফ অনুযায়ী, প্রথম 77 ইউনিটের দাম 5 টাকা 4 পয়সা, পরের 58 ইউনিটের জন্য 6 টাকা 33 পয়সা, তৃতীয় বারের 90 ইউনিটের জন্য 7 টাকা 12 পয়সা, 225 ইউনিটের জন্য 7 টাকা 52 পয়সা এবং 196 ইউনিটের জন্য 7 টাকা 69 পয়সা ধার্য হওয়ার কথা।
আরো পড়ুনঃ ৩১ মে লাস্ট ডেট! ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকলে জমা করুন, নাহলে পরে লাইন দিতে হবে
আর এই ধার্যকরণ নিউ ট্যারিফের অধীনে হবে। অর্থাৎ এই নতুন নিয়মে, ইউনিট প্রতি চার্জ এক রেখে ইউনিটের পরিমাণ 3 ভাগের এক ভাগ কমিয়ে নিয়ে 3 গুণ দাম বাড়ানো হয়েছে। সেই কারণেই, যেখানে গ্রামীণ ডোমেস্টিকে 300 ইউনিটের জন্য আসার কথা 1699.50 টাকা। কিন্তু এখন আসছে 1959.03 টাকা! আবার 250 ইউনিটের বিল আসার কথা যদি হয় 1563 টাকা, আসছে 1748 টাকা।
খুব স্বাভাবিকভাবেই, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা। অথচ কয়লার দাম কমেছে লাফিয়ে, জিএসটি’ও এখন প্রায় অর্ধেকের সমান। সবচেয়ে বড় কথা, রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই নাকি সিইএসসি এবং রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা স্ল্যাব চেঞ্জ করে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত হারে বিলের টাকা আদায় শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠছে।
আরো পড়ুনঃ ৫১ টি স্কুলের সবাই ফেল! অবাক কান্ড, মাধ্যমিকে কেউই পাস করতে পারল না
বিদ্যুৎকর্মী ও প্রযুক্তিবিদ আন্দোলনের সর্বভারতীয় নেতা প্রশান্ত নন্দী চৌধুরি দাবি, অর্ডারে নেই, অথচ বিল করা হচ্ছে, এটা অন্যায়। ভুল স্বীকার করে এই অতিরিক্ত অর্থ অবশ্যই ফেরত দিতে হবে সাধারণ মানুষকে। আর পুজোর সময়ে বা উৎসবে বিদ্যুতে দেওয়া ছাড়ের দায় ডব্লিউবিএসইডিসিএল’র। তাই এর জন্য বাজেট বরাদ্দ করা উচিত।