চলতি জুন মাসের ২৭, ২৮ তারিখ নাগাদ এই টাকা ঢোকার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। আপনি এই টাকা পাবেন কিনা তার স্ট্যাটাস কীভাবে জানতে পারবেন তাও আমরা আজ বিস্তারিত জানাতে চলেছি। টাকা পাবেন কিনা তা অবশ্যই একবার চেক করে কনফার্ম হয়ে নেবেন।
30 লক্ষেরও বেশি কৃষকদের অর্থ ও বীমা দিয়ে সহায়তা করে রাজ্য সরকার। বছরে 4,000 থেকে 10,000 টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকেন মমতা। আপনিও যদি 2024 তালিকায় আপনার নাম দিয়ে সাইন আপ করেন, তাহলে টাকা পাবেন। এরপর, সেই টাকা কবে ঢুকবে, তা জানার জন্য আপনার অর্থপ্রদানের স্থিতি পরীক্ষা করতে পারেন।
স্থানীয় অফিসে বা অনলাইনে গিয়ে এই আবেদনের ফর্মটি তুলতে পারবেন। তবে, এই প্রকল্পের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে 18 থেকে 60 বছর বয়সী বাংলার কৃষকদের জন্য, বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে মমতা সরকার। এইভাবেই একবার আপনি কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করলে, আপনি প্রতি বছর টাকা পাবেন।
কৃষক বন্ধুর টাকা আপনি আদৌ পাবেন কিনা, কীভাবে জানবেন?
কৃষকবন্ধু সুবিধাভোগী তালিকা দেখতে, এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন-
1) কৃষকবন্ধু ওয়েবসাইটে যান।
2) Beneficiary List এ ক্লিক করুন।
3) একটি নতুন পেজ খুলবে। আপনার জেলা, ব্লক এবং গ্রাম খুঁজে নিন।
4) Submit এ ক্লিক করুন।
5) এবার আপনার এলাকার সুবিধাভোগীদের একটি তালিকা দেখতে পাবেন।
6) তালিকায় আপনার নাম আছে কিনা দেখুন।
7) এবার আপনার টাকা কবে ঢুকবে, তা জানার জন্য, নিম্নলিখিত উপায় দেখুন।
মোবাইল নম্বর দিয়ে কৃষক বন্ধুর স্ট্যাটাস চেক করবেন কীভাবে?
1) প্রথমেই মোবাইলে কৃষক বন্ধুর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ওপেন করুন।
2) হোমপেজে Registered Farmer Information এ ক্লিক করুন।
3) Mobile Number নির্বাচন করুন।
4) এবার আপনার মোবাইল নম্বর দিন।
5) Search অপশনে ক্লিক করুন।
6) এবার আপনি আপনার পেমেন্ট স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন।
আরো পড়ুনঃ টিভি চ্যানেল দেখার জন্য মাসে মাসে ১ টাকাও দিতে হবেনা! এইভাবে DD ফ্রি ডিশ এর সুবিধা নিন
কখন কখন কৃষক বন্ধুর টাকা দেয় রাজ্য সরকার?
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে দুই নিয়মে অনুদান দেওয়া হয়। ১) খারিফ অনুদান 2) রবি ফসলের অনুদান। মূলত মে এবং জুন মাসের মধ্যেই খারিফ অনুদানের টাকা পাঠানো হয়।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা কী কী?
1) অর্থ সাহায্য: এক একর বা তার বেশি জমির মালিক চাষীরা দুই কিস্তিতে বছরে 10,000 টাকা পান। এটি তাঁদের চাষের আগে এবং পরে সাহায্য করে। বড় অঙ্কের লোন থেকে রক্ষা করে।
2) জীবন বীমা: কৃষকরাও 2 লক্ষ টাকার জীবন বীমা পান। 18 থেকে 60 বছরের মধ্যে কোনও কৃষক মারা গেলে, তাঁর পরিবার এই টাকা পায়।
3) ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য সাহায্য: এক একরের কম জমির কৃষকরা বছরে দুই ভাগে 4,000 টাকা পান।
আরো পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সব খালি হয়ে গেল! এমন ঘটনা যেন আর কারো সাথে না ঘটে
কৃষক বন্ধুর জন্য আবেদন করবেন কীভাবে?
নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয় নথি সঙ্গে রাখুন-
1) আইডেন্টিটি প্রুফ ডকুমেন্ট
2) বয়স প্রমাণ নথি
3) আবাসিক প্রমাণ নথি
4) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রমাণ
5) কৃষকের জমির রেকর্ড বা দলিল
এবার আপনার নিকটবর্তী সরকারী ক্যাম্প বা কৃষি অফিস থেকে আবেদন ফর্মটি নিয়ে নিন। অনলাইনেও ফর্ম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে পূরণ করতে পারেন। তারপর প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত করুন। এরপর আপনাকে আরও দুটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। একটি হল একটি ঘোষণাপত্র, যেখানে আপনি আপনার বিবরণ লিখুন এবং এটিতে স্বাক্ষর করবেন। অন্যটি আধার প্রমাণীকরণের জন্য। স্কিমের সুবিধা পেতে আবেদন পত্রের সঙ্গে এগুলি জমা দিতে হবে।