সবে মাত্র টাকা ঢুকেছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাউন্টে। মে মাস থেকে বর্ধিত মহার্ঘ ভাতার হারে প্রায় 8000 টাকা পর্যন্ত বেশি বেতনও পেয়েছেন তাঁরা। এদিকে সপ্তম দফার ভোট শেষ। রেজাল্ট বেরোবে 4 জুন। এরই মধ্যে আদালত অবমাননার অভিযোগে আদালতের কাছে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য।
অভিযোগ উঠেছে, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশের নির্দেশ থাকলেও তা মানেনি রাজ্য সরকার। তাই 24 মে গৃহীত হয়েছে দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলার আবেদন। এবার পালা শুনানির, আগামী 14 জুন। রাজ্যের বিপক্ষে এমন মামলা নিয়ে বেগ পেতে পারে রাজ্য।
জুন জুলাইয়ের দিকে বেতন বাড়ায় রাজ্য সরকার। সেই প্রস্তুতি শুরু হতে পারত ভোট মেটার পর পরই। এখন মামলা নিয়ে আবার সরগরম হতে পারে রাজ্য। এবার ভোট, গ্রীষ্মকালীন অবকাশ মিটিয়ে আদালত খুললেই শুরু হবে শুনানি। কিন্তু হঠাৎ এত বড় মামলা কেন করা হল? রিপোর্ট প্রকাশ না করে আদালতের অবমাননাই বা কীভাবে করল মমতা সরকার?
রিপোর্ট বলছে, ইউনিটি ফোরাম ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্টের বিশদ জানতে চেয়েছিল রাজ্য সরকারের কাছে। দায়ের করা হয়েছিল আরটিআই। জবাব না পেয়ে সোজা হাই কোর্টে মামলা করেছিল সংগঠনটি। তার সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে উচ্চ আদালতের মনে হয়েছে ষষ্ঠ বেতন কমিশন সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা উচিত রাজ্যের। কিন্তু তাও অমান্য করেছিল রাজ্য। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও কোনও জবাব আসেনি। তাই এবার দায়ের হয়েছে আদালত অবমাননার মামলা।
আরো পড়ুনঃ ইংল্যান্ডে রেখে লাভ নেই! তাই দেশে ফিরছে ১ লাখ কেজি সোনা, এবার কী সোনার দাম কমবে?
প্রসঙ্গত, একের পর এক দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই হোঁচট খেতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। নিয়োগ দুর্নীতি, OBC সার্টফিকেট নিয়ে দুর্নীতি, শিক্ষা দুর্নীতি, আরও কত কী! তার উপর এখন এবার আদালত অবমাননার মামলা।
লোকসভা নির্বাচনের রেজাল্ট ঘোষণার পরেই বর্তমান রাজ্য সরকারের জন্য কী শুনানি অপেক্ষা করছে তা সময়ই বলবে। কারণ তড়িঘড়ি সরকারী কর্মচারীদের জন্য চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করেও সেভাবে কর্মীদের মন পাননি মমতা। 1 মে তারিখের বর্ধিত টাকা পেয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।