আপনার সন্তানও যদি মোবাইলে আসক্ত হয়, তাহলে একদম টেনশন নেবেন না। শুধু সাবধান হয়ে কয়েকটি কথা মাথায় রাখলেই হবে। ভবিষ্যতের জন্য মোবাইল ঘাটার বাজে এই অভ্যাসটি বাচ্চার ভেঙে যাবে।
মোবাইল আসক্তির কারণ
(১) মোবাইল হয়ে উঠেছে স্ট্যাটাস সিম্বল। এই কারণে, ছোটরাও দামী ফোন সরবরাহ করছে। অন্যদের সঙ্গে নিজেদের দামি জিনিসের প্রচার করছে।
(২) পিয়ার প্রেসারও তৈরি হচ্ছে অর্থাৎ ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স আসছে। ক্লাসে এক সন্তানের কাছে মোবাইল থাকলে অন্যজনের কাছে না থাকলে অভিভাবকরাও সন্তানদের কাছে চাপে পড়ছেন।
(৩) বাবা-মা বেডরুমে ঘুমাচ্ছেন। শিশুরা সারারাত অন্য ঘরে মোবাইল ফোন নিয়ে খেলা করে চলেছে।
(৪) বাবা-মা চাকরিতে থাকাও এই আসক্তি একটা কারণ। এই কারণে শিশুর সময় কাটানোর বা শক্তি ব্যয় করার একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মোবাইল।
বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি কাটাতে এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করুন
অভিভাবকদের উচিত শিশুদের সর্বোচ্চ সময় দেওয়া। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের পরিবর্তে, তারা সাধারণ ফোন সরবরাহ করতে পারে। সেইসাথে-
- মোবাইল অপশন তৈরি করুন। বাচ্চাদের সেই খেলার মাঠে নিয়ে যান।
- অভিভাবকদের মোবাইল ইত্যাদি ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট সময় ঠিক করতে হবে।
- বাচ্চাদের বোঝান যে মোবাইল ভবিষ্যৎ নয়।
- বয়ঃসন্ধিকালে শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন দেবেন না। তার জন্য অন্য উপায় প্রস্তাব করুন।
- শিশুর সঙ্গে আপনিও বই পড়ুন উচ্চস্বরে। ছবি দেখিয়ে, প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে তাদের উৎসাহিত করতে পারেন।
- গল্পের মাধ্যমে পড়ান।
- ম্যাচিং গেম, বর্ণমালা ধাঁধার খেলায় মাতিয়ে রাখুন।
আসলে, আজকাল, অভিভাবকরা নিজেদের সন্তানদের মোবাইল ফোন দিয়ে খুব নিশ্চিন্তে কাজ করেন। তবে মনে রাখবেন আপনার সন্তানরা যেন ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোনের আসক্তির কারণে তাদের শৈশব হারিয়ে না ফেলে।
আজকাল, বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন অনেক ঘণ্টা ধরে থাকে এবং অভিভাবকরাও এটিকে পাত্তা দেন না। ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন যেখানে শিশুদের শৈশব থেকে কেড়ে নিচ্ছে, সেখানে খেলাধুলার প্রতি তাদের আগ্রহও কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া পড়াশোনা সহ অন্যান্য বিষয়ে শিশুদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। এটি শিশুদের স্বাস্থ্যের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।