বর্তমান দিনে দাঁড়িয়ে আধার কার্ড (Aadhaar Card) শুধুমাত্র পরিচয়পত্রের জন্য নয়, বরং ডিজিটাল চাবিকাঠিও। হ্যাঁ, এই আধার কার্ড আপনার তথ্য, পরিচয়, সরকারি সুযোগ-সুবিধা, সব কিছুই সংরক্ষণ করে রাখে। অথচ আমরা অনেকেই জানি না যে, এই ছোট্ট কার্ডের পিছনে লুকিয়ে থাকে বিশেষ কিছু সুবিধা।
তো আজ আমরা এই প্রতিবেদনে এমন ৭ টি সুবিধা সম্পর্কে জানব, যা হয়তো আগেও শুনেছেন, কিন্তু আসল ক্ষমতা সম্পর্কে জানেন না।
সরাসরি অ্যাকাউন্টে ভর্তুকির টাকা
আপনি কি জানেন, আধার কার্ড আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকলে গ্যাস ভর্তুকি, কিষাণ সম্মান নিধি, রেশন অথবা স্কলারশিপ সহ বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পের টাকা সরাসরি অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। হ্যাঁ, এর জন্য কোনও দালালের প্রয়োজন হয় না। এটি যেমন স্বচ্ছতা বাড়ায়, তেমনই নিজের অধিকার সরাসরি পাওয়া যায়।
ই-কেওয়াইসি
এমন একটা সময় ছিল, যখন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে বা সিম নিতে অনেক কাগজপত্র জোগাড় করতে হতো। কিন্তু এখন আধার কার্ড থাকলে কয়েক মিনিটেই সম্পন্ন হয়ে যায়। সিম কিনুন কিংবা ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট বা মিউচুয়াল ফান্ডে লগইন, ই-কেওয়াইসির মাধ্যমে সবকিছুই সম্ভব হয়।
mAadhaar অ্যাপ
আপনার ফোনে যদি mAadhaar অ্যাপ থাকে, তাহলে আধারের নিয়ন্ত্রণ আপনার নিজের হাতেই থাকবে। হ্যাঁ, কিউআর কোডের মাধ্যমে পরিচয় দেখান, কিংবা বায়োমেট্রিক লক করুন, কিংবা নতুন তথ্য আপডেট করুন, সবকিছুই এই অ্যাপ থেকে পারবেন। আর আপনাকে কোথাও গিয়ে লাইনেও দাঁড়াতে হবে না।
ঠিকানার প্রমাণপত্র
পাসপোর্টে আবেদন, স্কুল ভর্তি, গ্যাস সংযোগ থেকে শুরু করে চাকরির সময় ঠিকানার প্রমাণ জমা দিতে গেল আধার এখন একমাত্র প্রমাণ হিসেবেই বৈধ হয়। আর এতে পরিচয় এবং ঠিকানা, উভয়ের নিশ্চয়তা পাওয়া যায়।
আধার-প্যান লিংক
বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক। যারা আয়কর দাখিল করেন, তারা হয়তো জানেন না যে, আধার কার্ড ছাড়া কিছুই হয় না। আধারের মাধ্যমে ওটিপি ভেরিফিকেশন করলে আয়কর ফাইলিং খুব সহজ এবং দ্রুত হয়।
অনলাইন আপডেট
নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু আপনি ঘরে বসেই আপডেট করতে পারবেন ইউআইডিআই এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। এর জন্য অফিসে যাওয়া বা ফর্ম ভরা বা লাইনে দাঁড়ানোর কোনও দরকার পড়ে না।
আরও পড়ুন: মাত্র ২০ হাজার দিয়ে শুরু করুন এই ব্যবসা! মাস গেলে পকেটে ঢুকবে ৯ লক্ষ টাকা
শিশুদের জন্য বাল আধার
আজকালকার দিনে দাঁড়িয়ে অনেক স্কুলে ভর্তি কিংবা স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে শিশুদের আধার কার্ড প্রয়োজন হয়। শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সের শিশুদের জন্য বাল আধার তৈরি করা হচ্ছে। আর এখানে বায়োমেট্রিক লাগে না। তবে বয়স পাঁচ বছর পেরোলেই আপডেট করতে হয়।