ব্যাংকে টাকা না রাখলে আগে কাটত মিনিমাম ব্যালেন্সের (Minimum Balance) চার্জ। অনেকের কাছে ছিল এটি চিন্তার কারণ। বিশেষ করে যারা সেভিংস অ্যাকাউন্টধারী, তাদের মাস শেষে গড় ব্যালেন্স না রাখলেই চার্জ কেটে নেওয়া হত ব্যাংকের তরফে। তবে এবার সেই চাপ কমতে চলেছে। কারণ এসবিআই সহ দেশের ছয়টি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য এবার বিরাট সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
টাকা না থাকলেও কাটবেনা চার্জ
জানা যাচ্ছে, ছয়টি ব্যাংক এবার একসঙ্গে ঘোষণা করেছে যে, গ্রাহকদের সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স না রাখলেও কোনোরকম জরিমানা কাটা হবে না। আর এই সিদ্ধান্তের জেরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে বহু সাধারণ গ্রাহক। তেমনি আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর মানুষরাও স্বস্তি পেয়েছে।
কোন কোন ব্যাংক তালিকায় রয়েছে?
১) প্রথমত এই তালিকায় রয়েছে ইন্ডিয়ান ব্যাংক। তারা ৭ জুলাই, ২০২৫ থেকে সমস্ত ধরনের সেভিংস অ্যাকাউন্টে মিনিমাম ব্যালেন্সের চার্জ সম্পূর্ণ ভাবে তুলে নিয়েছে। আর এটি কার্যকর হয়েছে ব্যাংকের সমস্ত শাখাতেই।
২) দ্বিতীয়ত রয়েছে ব্যাংক অফ বরোদা। ১ জুলাই থেকে স্ট্যান্ডার্ড সেভিংস অ্যাকাউন্টের উপর মিনিমাম ব্যালেন্স না রাখার আর কোনও চার্জ আরোপ করছে না এই ব্যাংক। তবে প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্টধারীরা ছাড় পাবে না বলে জানানো হয়েছে।
৩) তিন নম্বরে রয়েছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক। তাদের তরফ থেকেও একইরকম ঘোষণা করা হয়েছে। এবার সব ধরনের গ্রাহকদের সেভিংস অ্যাকাউন্টে আর গড় ব্যালেন্স না রাখলে চার্জ বসবে না বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
৪) এরপর রয়েছে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। তারা ২০২০ সালে চালু হওয়া এই নিয়ম বাতিল করেছে। এখন এসবিআই গ্রাহকরাও মিনিমাম ব্যালেন্স না রেখে নিশ্চিন্তে সেভিংস অ্যাকাউন্ট চালিয়ে দিতে পারবে।
৫) পাঁচ নম্বরে রয়েছে ব্যাংক অফ বরোদা। পরিবর্তিত আর্থিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ব্যাংক অফ বরোদা একই নিয়ম চালু করার পথে হেঁটেছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তারা জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ সাধারণ গ্রাহকদের জন্য সত্যিই প্রয়োজনীয়।
আরও পড়ুন: বছরে মিলছে ৭৫,০০০ টাকা, প্রধানমন্ত্রী চালু করল সেরা স্কলারশিপ
৬) সবার শেষে রয়েছে কানারা ব্যাংক। ২০২৫ সালের মে মাস থেকে এই নিয়ম চালু করেছে এই ব্যাংক। সাধারণ সেভিংস অ্যাকাউন্ট ছাড়াও স্যালারি অ্যাকাউন্ট এবং এনআরআই সেভিংস অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে এই একইরকম ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
আসলে বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছে, দেশের মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে আরো বেশি যুক্ত করতেই এরকম সিদ্ধান্তর পথে হাঁটা হয়েছে। করোনা পরবর্তীতে আর্থিক চাপে পড়ে বহু মানুষের জন্য এটি সত্যিই স্বস্তির খবর। তাই এখন মিনিমাম ব্যালেন্স নিয়ে আর কোনোরকম চিন্তা করার দরকার নেই।