একদিকে মূল্যবৃদ্ধির চাপে কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ, আর অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য খুশির খবর আসলো। তাও আবার বেতন বাড়ার সম্ভাবনা। কারণ কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই শুরু করেছে অষ্টম বেতন কমিশন (8th Pay Commission) গঠনের কাজ।
বেশ কিছু সূত্র বলছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রকাশিত হবে নতুন বেতন কমিশনের শর্তাবলী। আর সেখানে স্পষ্ট হবে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ঠিক কতটা আর্থিক স্বস্তি আসতে চলেছে।
মিলতে পারে একগুচ্ছ সুবিধা
নতুন বেতন কমিশনে শুধুমাত্র বেতন বৃদ্ধি নয়, বরং আসতে পারে পদোন্নতি, অগ্রিম পেনশন এবং বিভিন্ন ভাতা সংক্রান্ত নতুন নিয়ম, যেমনটা ঘটেছিল সপ্তম বেতন কমিশনের সময়। আর সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কর্মচারীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নতুন প্রত্যাশা।
বেশ কিছু সরকারি আধিকারিক দাবি করছে, অষ্টম বেতন কমিশনে ৫০ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগীরা সুবিধা পাবে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির লক্ষ লক্ষ কর্মচারীরাও এর ফলে উপকৃত হবেন।
গঠিত হলো গুরুত্বপূর্ণ কমিটি
অষ্টম বেতন কমিশনের জন্য একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছে। আর এই কমিটির মূল উদ্দেশ্য কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে একটি বিস্তারিত স্মারকলিপি প্রস্তুত করা। সূত্রের খবর, এই কমিটির নেতৃত্ব থাকবেন NC-JCM এর সাধারণ সম্পাদক শিব গোপাল মিশ্র।
এই কমিটিতে থাকবেন মোট ১৩ জন সদস্য, যারা স্বীকৃত কর্মচারী সংগঠনের তরফ থেকে নির্বাচিত হবে। আর জুন মাসের শুরুতেই হবে বৈঠক। এরপর বছরভর চলবে পরামর্শ এবং তথ্য সংগ্রহের সব কাজকর্ম।
স্মারকলিপিতে কী থাকতে পারে?
বেশ কিছু সূত্র দাবি করছে, এই স্মারকলিপিতে উঠে আসবে ন্যূনতম বেতন কাঠামো, পদোন্নতি, নতুন নিয়ম, ভাতা এবং আর্থিক অগ্রিমের সুবিধা। পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত সমস্যা এবং তার সমাধান সংক্রান্ত প্রস্তাবও থাকতে পারে। সূত্র দাবি করছে, নতুন বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ২০২৬ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে বেতন কাঠামো কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: ঘরে বসেই হাজার হাজার টাকা আয়! কলেজ পড়ুয়ার এই ব্যবসা দেখলে তাক লেগে যাবে
থাকছে ব্যয়ের চ্যালেঞ্জ
যদিও নতুন কমিশনের ফলে সরকারের আর্থিক বোঝা অনেকটা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ সপ্তম পে কমিশনের সময় সরকারের ২৩.৫৫% ব্যয় বেড়ে গিয়েছিল। আর যার ফলে প্রায় ১.০২ লক্ষ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছিল। তবুও কর্মচারীদের স্বার্থে তা মেনে নেবে কেন্দ্র সরকার। কারণ বেতন বৃদ্ধির ফলে কর্মচারীদের কাজের মনোযোগও বাড়বে।