কোনও বিধিনিষেধ নেই। আইন অনুযায়ী, শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে কোনও জায়গায় স্থানান্তর করে দিতে পারে সরকার। ফলত চাপ বাড়ছেই। এই বিষয়ে বিস্তারিত আপডেট আজকের এই প্রতিবেদনে জানানো হবে।
2024 সালের অক্টোবরের কথা। তখন সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে, 2017 সালের আগে নিয়োগ করা স্কুল শিক্ষকদের দূরবর্তী জেলায় বদলি করা যাবে না।
যাইহোক, এই বছরের 26 সেপ্টেম্বর বিচারপতি জে কে মহেশ্বরী এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের একটি বেঞ্চ শিক্ষকদের মামলা খারিজ করে দেয়, রাজ্য সরকারকে আবার শিক্ষক বদলি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেয়। আর এই সিদ্ধান্তই পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের বেশ চিন্তায় ফেলেছে।
শিক্ষকরা উদ্বিগ্ন কারণ, এই রায়ের অর্থ সরকার এখন যেখানে খুশি তাঁদের বদলি করে দিতে পারে। কেউ কেউ মনে করেন, তাঁরা যদি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আগে সরকারের সঙ্গে কথা বলতেন, তাহলে হয়তো আরও ভালো সমাধান পেতে পারতেন। কিন্তু এখন, আর সেই অপশানও হাতে নেই।
এই রায়ের আগে, স্কুল সার্ভিস কমিশন শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে চাপের সম্মুখীন হয়েছিল। আসলে, আগের সারপ্লাস টিচার ট্রান্সফার, বর্তমানে 10 C টিচার ট্রান্সফার নামে চালু করা হয়। গত এক বছর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশন এই আইন প্রয়োগও করে শিক্ষকদের বদলি করেছিল। আর শিক্ষক কমিটি এই পদ্ধতিকেই সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল ঠিকই। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের পক্ষে রায়ই দিল না।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার এই রায়ে ইতিমধ্যেই হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট শিক্ষকদের যুক্তি বিবেচনা করেনি এবং আগের আদালতের সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে। এর দরুণ শিক্ষকদের আশঙ্কা হচ্ছে যে সরকার এবার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিশোধ নিতে পারে বা বাধ্যতামূলক বদলি কার্যকর করতে পারে। হালদার এদিন আরও উল্লেখ করেছেন যে তাঁরা সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে একটি রিভিউ পিটিশন দায়ের করারও পরিকল্পনা করছেন।
আরও পড়ুন: SBI তাদের কোটি কোটি গ্রাহকদের সতর্ক করল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলেই জানুন
সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, রাজ্যের শিক্ষকরা এখন উদ্বিগ্ন এবং অনিশ্চিত বোধ করছেন, কারণ বদলির বিষয়ে সরকারের নতুন ক্ষমতা, তাঁদের চাকরির নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
অনেকেই এটা ভেবে উদ্বিগ্ন যে তাঁদের কর্মজীবন ব্যাহত হতে পারে। এবার পরবর্তীতে কী ঘটবে? অধিকার রক্ষার জন্য শিক্ষকরা কোন আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন? সেটাই দেখার।