Government Scheme: হোলির উৎসব যেতে না যেতেই রাজ্যের মহিলাদের জন্য বড়সড় ঘোষণা করে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার রাজ্যের যোগ্য কন্যারা পাবেন প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা করে ভাতা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবে খুশির জোয়ার বইছে রাজ্যের মহিলাদের মধ্যে।
কাদের জন্য এই প্রকল্প?
বেশ কিছু সূত্র বলছে, এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে ২০২৫ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ৩১শে মার্চের মধ্যে যে সমস্ত মেয়েরা ২১ বছর বয়স পূর্ণ করবে তাদেরকে। অর্থাৎ, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যাদের বয়স ২১ বছর হবে তারাই একমাত্র এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে।
তবে এখানেই শেষ নয়। গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করা মহিলারাও এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন। সুত্র বলছে, ২০২৫ সালের ১লা জুন থেকে তাদের কন্যারাও প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবে।
বিধবা মহিলাদের জন্য বিশেষ সুবিধা
সরকারি এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র সাধারণ মেয়েদের জন্যই নয়, বরং বিধবা মহিলাদের কন্যারাও এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলেছেন। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো, যদি কোন বিধবা মায়ের মেয়ে পেশাদার কোর্স করতে চায়, তাহলে তাকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে কোর্স করানো হবে এবং হোস্টেল ফিও রাজ্য সরকার বহন করবে।
পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বাড়তি সুবিধা
ভবিষ্যতে পঞ্চায়েতের অনুমোদিত আরো বেশি সংখ্যক মহিলা এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন বলে আশ্বাস দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, রাজ্যের যোগ্য মেয়েদের পাশে দাঁড়ানো রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। তাই যত বেশি সংখ্যক মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা যায় তার জন্য কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: স্বল্প পুঁজিতে শুরু করুন এই ব্যবসা, পুজোর আগে লাখপতি হবেন
রাজ্যে চালু হতে চলেছে নয়া প্রকল্প
এই প্রকল্পের ঘোষণা আসতেই অনেকেই মনে করছে যে, এটি হিমাচল প্রদেশের ইন্দিরা গান্ধী প্যারি বেহনা সুখ সম্মান নিধি প্রকল্পের অনুকরণ করেই তৈরি হতে চলেছে। যদি সত্যি এমন কিছু হয়, তাহলে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মহিলাদের জন্য সুখবর। কারণ তাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা নিশ্চিত হবে।
এক কথায় রাজ্য সরকারের এই নতুন প্রকল্প মহিলাদের আর্থিক স্বাধীনতা বাড়ানোর জন্য এক নয়া পদক্ষেপ। বিশেষ করে যারা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। এখন দেখার বিষয় কীভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে রাজ্য সরকার।