TRAI-এর নতুন গাইডলাইন, মোবাইলে ২ টো সিম কার্ড থাকলেই জানুন

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

প্রায় ২০ বছর আগে, টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI) প্রিপেইড রিচার্জ চালু করেছিল। শুধুমাত্র ভয়েস কল বা SMS পরিষেবার জন্য অর্থ প্রদানের অনুমতি দেয় এই রিচার্জ প্ল্যান। এখন, TRAI এই বিকল্পটিই ফিরিয়ে আনছে। লক্ষ্য হল গ্রাহকদের আরও বেশি বিকল্প দেওয়া, বিশেষ করে যাদের শুধুমাত্র ভয়েস বা SMS পরিষেবার প্রয়োজন। ব্যয়বহুল ডেটা প্যাকের জন্য টাকা না খরচ করে এই কম পয়সাতেই প্রয়োজনীয় সুবিধা পেয়ে যাবেন।

TRAI বিশ্বাস করে যে এটি বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের এবং গ্রামীণ এলাকার লোকদের সাহায্য করবে। এটি বর্তমান ডেটা-অনলি প্ল্যান এবং বান্ডেলড প্যাক (যার মধ্যে ভয়েস, SMS এবং ডেটা একসাথে অন্তর্ভুক্ত) ছাড়াও ভয়েস এবং SMS এর জন্য স্পেশাল ট্যারিফ ভাউচার (STV) নামে একটি নতুন ধরণের রিচার্জও চালু করছে। 1999 সালের টেলিকম ট্যারিফ অর্ডারের নিয়ম আপডেট করে এই পরিবর্তন করা হয়েছে।

2G এবং ডুয়াল সিম ব্যবহারকারীদের জন্য পরিবর্তন

বর্তমানে, 2G পরিষেবা বা ডুয়াল সিম কার্ড ব্যবহারকারীরা প্রায়শই এমন প্ল্যান কেনেন যাতে ডেটা, ভয়েস কল এবং SMS অন্তর্ভুক্ত থাকে, এমনকি যদি তাদের এই পরিষেবাগুলির মধ্যে কেবল একটি বা দুটি প্রয়োজন হয়। অনেকেই একটি সিম ডেটার জন্য এবং অন্যটি কেবল কল এবং এসএমএসের জন্য ব্যবহার করেন।

নতুন নিয়মের মাধ্যমে, ট্রাই নিশ্চিত করবে যে এই গ্রাহকরা অতিরিক্ত ডেটার জন্য অর্থ প্রদান না করেই সাশ্রয়ী মূল্যের ভয়েস এবং এসএমএস-কেবল প্ল্যান পেতে পারেন। এই পরিবর্তনটি ভারতের ১৫ কোটি মানুষের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ যারা এখনও 2G ফিচার ফোন ব্যবহার করেন।

টেলিকম পরিষেবার উপর প্রভাব

বর্তমানে, টেলিকম প্রদানকারীরা ভয়েস এবং এসএমএস প্যাকের সাথে ডেটা বান্ডিল করে, যা ডেটার প্রয়োজন নেই এমন ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যয়বহুল হতে পারে। ট্রাইয়ের নতুন নিয়মগুলি মানুষকে আরও সাশ্রয়ী মূল্যের এবং উপযুক্ত বিকল্প প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে, এই উদ্বেগের সমাধান করে যে বান্ডিল অফারগুলি গ্রাহকদের পছন্দ সীমিত করে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

সিম কার্ডের জন্য নতুন নিয়ম

ভারত সরকার সিম কার্ড ইস্যু করার জন্য নতুন নিয়মও চালু করেছে, যা ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে কার্যকর করা হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলির মধ্যে রয়েছে-

সিম বিক্রেতা নিবন্ধন: সমস্ত সিম কার্ড বিক্রেতাদের টেলিকম অপারেটরদের সাথে নিবন্ধন করতে হবে এবং পুলিশ যাচাইকরণ সম্পূর্ণ করতে হবে, পাশাপাশি আধার এবং পাসপোর্টের মতো নথি জমা দিতে হবে।

লিখিত চুক্তি: বিক্রেতাদের টেলিকম অপারেটরদের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে, যাতে গ্রাহক নিবন্ধন এবং লঙ্ঘনের জন্য জরিমানা সম্পর্কে বিশদ অন্তর্ভুক্ত থাকে।

অনিবন্ধিত বিক্রয়ের জন্য জরিমানা: সঠিক নিবন্ধন ছাড়া সিম কার্ড বিক্রি করলে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা হতে পারে।

ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া: নতুন সিম কার্ড এবং সিম সোয়াপের জন্য আধার-ভিত্তিক ইলেকট্রনিক কেওয়াইসি প্রক্রিয়া প্রয়োজন হবে।

বাল্ক বিক্রয় নয়: সিম কার্ডের বাল্ক বিক্রয় এখন নিষিদ্ধ।

আরও পড়ুনঃ Airtel করে দেখালো, Jio তা পারেনি! ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে পৌছে দিল এই পরিষেবা

নিষ্ক্রিয় সিম: সংযোগ বিচ্ছিন্ন মোবাইল নম্বরগুলি ৯০ দিনের জন্য পুনরায় ব্যবহার করা হবে না। ৩০ দিন ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা সিম কার্ডগুলি আউটগোয়িং পরিষেবা হারাতে পারে এবং ৪৫ দিন পরে, আগত পরিষেবাগুলি ব্লক করা যেতে পারে।

সিম কার্ডের সীমা: একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ নয়টি সিম কার্ড রাখতে পারবেন, যদিও জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে এই সীমা ছয়টি।

প্রসঙ্গত, এই নতুন নিয়মগুলি জাল সিম কার্ড জড়িত জালিয়াতি এবং অবৈধ কার্যকলাপ হ্রাস করার জন্য চালু করা হয়েছে, যা টেলিকম ব্যবস্থাকে সকলের জন্য নিরাপদ এবং আরও স্বচ্ছ করে তোলে।

Leave a Comment